ভরা মৌসুমেও নওগাঁয় অস্থির চালের বাজার, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা

১ দিন আগে
ভরা মৌসুমে নেই চালের সংকট। তারপরও নওগাঁর মোকামে সপ্তাহ ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৪শ টাকা পর্যন্ত। দফায় দফায় বাড়তি দরে কাটা যাচ্ছে ভোক্তার পকেট। কিন্তু ভিন্ন চিত্র উৎপাদকের ক্ষেত্রে। চাষিদের অভিযোগ, হাটে মিলছে না ধানের ন্যায্য দাম। তবে সেই ধানের চাল চড়া দরে বিক্রি করছেন মিলাররা। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন ভোক্তারা। খাদ্য বিভাগ বলছে, সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চলছে অনুসন্ধান।

একমাস আগেই বোরো মৌসুমের ধান কেটে তোলা হয়েছে। বস্তায় বস্তায় চালে ঠাসা মিলের গুদাম। ধান থেকে চাল বের করতে অটো মিলগুলোতে চলছে কর্মব্যস্ততা। এরই মধ্যে হঠাৎ চলতি সপ্তাহ নওগাঁর পাইকারি মোকামে বস্তা প্রতি সরু চাল ৪শ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন মিলাররা।

 

মৌসুমের শুরুতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান প্রতি কেজি কেনা হয়েছে ৩০ থেকে ৩১ টাকা। এসব ধান মিল পর্যায়ে এনে চাল বের করতে খরচ যোগ হয়েছে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা। কিন্তু সেই চাল বিক্রি হচ্ছে পাইকারি মোকামে প্রতি কেজি ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে। প্রতি কেজি চালে ফারাক রয়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। যার মুনাফা চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীর পকেটে।

 

আরও পড়ুন: সুযোগ বুঝে চালে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, অভিযোগ মিলারদের

 

এদিকে, চালের বাড়তি দরের উত্তাপ খুচরা বাজারে। মোটা জাতের পঞ্চাশ বাহান্ন টাকা কেজির চাল ঠেকেছে আটান্ন থেকে ৬০ টাকায়। আর সরু চাল ৬৮ থেকে ৭৫ এর ঘরে।

 

আয় ব্যয়ের দূরত্ব তৈরি হওয়ায় চাল কিনতে এসে হিসাব মেলাতে হিমশিম ক্রেতারা। তারা বলেন, চালের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

 

চালের দর বৃদ্ধির জন্য মজুদ প্রক্রিয়ায় মিল পর্যায়ে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের। তারা বলেন, চালের কোনো সংকট নেই। মজুতদারদের কারসাজিতে বাড়ছে দাম। ঈদের পর বস্তাপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এতে কমেছে বেচাবিক্রি।

 

আর ব্যবসায়ী নেতারা দেখাচ্ছে নানা অজুহাত। নওগাঁ জেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সঠিক নয়। ধানের দাম বাড়াতেই মূলত বাড়ছে চালের দাম।

 

আরও পড়ুন: চাল নিয়ে চলছে চালবাজি, কী বলছে ক্যাব?

 

এদিকে চালের বাজারে লাগাম টানতে জেলার মিলগুলোতে খাদ্য বিভাগ চালাচ্ছে মজুত বিরোধী অভিযান। নওগাঁ  জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ফরহাদ খন্দকার বলেন, বাজার, বড় বড় গুদামসহ রাইস মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

বোরো মৌসুমে জেলায় ১২ লাখ হাজার মেট্রিক টন ধান থেকে চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন