এনজো মারেস্কার দাবি, আগামী বছরগুলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের চেয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয় বেশি মর্যাদাপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
সম্প্রতি রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছে পিএসজি। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে। ক্লাব বিশ্বকাপেও তাদের দাপট অব্যাহত ছিলো। রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিলো প্যারিসিয়ানরা। তবে ফাইনালে এসে ধরা খেলো ইংলিশ ক্লাব চেলসির কাছে।
পুরো ম্যাচে শুধু বল দখলেই এগিয়ে ছিল পিএসজি। আক্রমণ, বিল্ড আপ, গোলের সুযোগ তৈরি সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল চেলসি। তার ফলও পায় তারা ম্যাচের ২২ মিনিটেই। ডি-বক্সের ভেতর থেকে গুসতোর পাস পেয়ে বল জালে পাঠান কোল পালমার।
তার আট মিনিট পর আবারও পালমারের গোল। তবে এবার অ্যাসিস্ট করেছেন কলউইল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর এলোমেলো খেলা শুরু করে পিএসজি। তার সুযোগ নেয় চেলসি। ৪৩তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন জোয়াও পেদ্রো। চেলসিতে যোগ দেয়ার পর এটি তার তৃতীয় গোল।
আরও পড়ুন: আনচেলত্তিকে সম্মান জানাতে মিলানে তার জার্সি পরবেন মদ্রিচ!
তবে পুরো পারফেক্ট মৌসুম কাটানো হলো না পিএসজির। ট্রেবল জেতার পর এবারের ক্লাব বিশ্বকাপেও তারা ছিল হট ফেবারিট। ফাইনালেও উঠেছিল ফরাসি ক্লাবটি। তবে শিরোপা জেতা হলো না তাদের। অপরদিকে, কনফারেন্স লিগ শিরোপা জেতা চেলসির মৌসুমটা শেষ হলো আরও একটি শিরোপা জিতে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল তারা। ২০২১ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে প্রথমবার ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল চেলসি।
পিএসজির বিপক্ষে জয়ের পর চেলসি কোচ মারেস্কা বলেন, ‘আমি এই প্রতিযোগিতাটার কথা ভাবছি, সত্যিটা হলো আমি ছেলেদের বলেছিলাম যে, আমার মনে হয় এই প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হবে। তিন বছর আগে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলাম, তখন আমি দলটির কোচিং স্টাফের অংশ হতে পেরে ভাগ্যবান ছিলাম।’
চেলসি কোচ আরও বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তগুলি কাটিয়েছি, কিন্তু সত্যিটা হলো এই টুর্নামেন্টটি বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্টগুলির একটি। আমরা এটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো মূল্যায়ন করি। কারণ এটি সত্যিই আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত জয়। এবং সত্যি বলতে, এটি আমাদের জন্য সম্মানের।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের চোখে মেসি-রোনালদো সর্বকালের সেরা নয়
মারেস্কা জানান, তার পরিকল্পনার কাছেই হেরে গেছে পিএসজি। ‘অবশ্যই, আপনি যেমন বলেছেন এখানে তিনজন মিডফিল্ডার আছে, তাদের মধ্যে এবার রিচ জেমস এবং মইসেস কাইসেদো দায়িত্বে ছিলেন, অন্যদিকে ভিতিনহা এনজোর দায়িত্বে ছিলেন। সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখলাম যে, সেই জায়গাটা কাজে লাগানোর জন্য এটা ভালো সুযোগ এবং ওই দিকে আমরা একটা গোল করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা কেবল একটা গেম প্ল্যান ছিল। যেমনটি আমরা অনেকবার বলেছি, আমরা বিভিন্ন খেলার পরিকল্পনা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া আমরা খেলোয়াড়দের এমন একটি অবস্থানে রাখতে চেয়েছি যেখানে তারা সবকিছু দিতে পারে। তবে আজ এটা (পরিকল্পনা) বেশ ভালোই কাজ করেছে, যেমনটা আমি আগেই বলেছি, এটি পুরো দলের এবং সব খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টার ফল। এবং আমি খুব খুশি।’
আগামী মাসে লেভারকুজেন এবং এসি মিলানের বিপক্ষে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে চেলসির। এরপর ১৭ আগস্ট ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুম শুরু করবে ব্লুজরা।
]]>