ক্ষমতায় আসার এক বছরও পূরণ হয়নি, এরইমধ্যে নাগরিকত্ব নীতিতে সবচেয়ে কঠোর শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। স্টারমার জানালেন, এখন থেকে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া হবে দীর্ঘমেয়াদি ও কঠিন।
সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ক একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘আজ আমরা অভিবাসন নিয়ে একটি হোয়াইট পেপার প্রকাশ করেছি। এই কৌশলগত পরিকল্পনা আমার পরিবর্তনের রূপরেখার কেন্দ্রে রয়েছে, যা আমাদের সীমান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করবে।’
আরও পড়ুন: রাজপরিবারের কাছে ফিরতে চান প্রিন্স হ্যারি
নতুন নীতিতে ইংরেজি ভাষা জানার শর্ত আরও কঠিন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৫ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করার নিয়ম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ বছর। বিদেশি কর্মী নিয়োগেও আসছে বিধিনিষেধ, যার প্রভাব পড়বে কেয়ার হোমসহ বিভিন্ন খাতে।
আইনজীবীদের মতে, এই কড়াকড়ি শুধু অভিবাসীদের নয়, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্যও হুমকি। এতে কমবে দক্ষ জনশক্তি, বাড়বে সামাজিক চাপ।
ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন,‘ সরকারের প্রস্তাবটা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই সবাইকে ১০ বছরের ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসবেন। তার অর্থ হলো, আপনি যদি বৈধভাবে এই দেশে ১০ বছর থাকেন তাহলে নাগরিতত্ব পেতে পারেন। যেটা আমাদের জন্য অশনি সংকেত।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে মুসলিম কবরস্থানে হামলা, ৮৫ কবর ভাঙচুর!
২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার অভিবাসী। যা আগের বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। কিন্তু নতুন নিয়মে সেই প্রবাহে পড়তে যাচ্ছে বড় ধরনের ধাক্কা।
যুক্তরাজ্যের নতুন নাগরিকত্ব নীতিমালা যেন অভিবাসীদের জীবনে এক কঠিন পরীক্ষার নাম। বৈধভাবে দশ বছর বসবাস করলেই মিলবে সেই বহু কাঙ্ক্ষিত ‘সোনার হরিণ’ ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। কিন্তু এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া সহজ নয়, প্রতিটি পদক্ষেপে থাকবে জবাবদিহিতা ও কঠিন বিধি নিষেধ।
]]>