এসব বিষয় নিয়ে বিবিসির ‘দ্য ওয়ার্ল্ড টুনাইট’ অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষাৎ না হওয়ার বিষয়টিকে তিনি নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে এলে সব বিষয় তিনি ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবেন।
স্টারমারের সঙ্গে দেখা না হওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সাথে বৈঠক হলে আমরা খুব খুশি হতাম, সম্ভবত তিনি ব্যস্ত আছেন বা অন্য কিছু হতে পারে।
কিন্তু এটি আমার জন্যও একটি দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে, এখন তিনি ব্যস্ত, আমি তাকে বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। তখন আমাদের হাতে সময় থাকবে এবং আমরা এখানে (বাংলাদেশে) কী ঘটেছিল, আমরা কী করতে চাইছি তা দেখাতে পারবো এবং তিনি পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। এবং আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বিষয়টিকে দুই পক্ষের জন্যই ‘সুযোগ হাতছাড়া’ হয়েছে বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক / এখনও ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে সংকট বাড়ার শঙ্কা
তিনি বলেন, সেজন্যই আমি বলছি, বাংলাদেশে তার আসাটা একটা দারুণ সুযোগ হতে পারে, ধীরে সুস্থে বাংলাদেশকে দেখার, অনুভব করার। তা উপলব্ধি করার জন্য ভালো সুযোগ তৈরি হতে পারে যে- বাংলাদেশ কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তা কমে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সাহায্যের শীর্ষ ১০টি সহায়তা প্রাপ্ত দেশের একটি। সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের ব্যয় পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বৈদেশিক সাহায্য নাটকীয়ভাবে হ্রাস করার কথা শোনা যায়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রথমত, আমরা আমাদের এই সংকটকালীন সময়ে কিছু সাহায্য পেলে খুব খুশি হব। কিন্তু যদি তা না পাই, তবুও আমরা আমাদের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে এ অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে ধারণা প্রধান উপদেষ্টার।
আরও পড়ুন: কী কথা হলো ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠকে?
তিনি বলেন, আজ সহায়তা কমেছে, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কাল বাড়বে। পরিস্থিতির যাচাই করে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। যেমন, হঠাৎ আমরা শুনতে পেলাম যে ইউএসএআইডি সহায়তা ১০০ শতাংশ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা দেখতে পাই যে আমাদের দেশে অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটছে, এর মধ্যে আছে আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা। অথচ তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সমস্ত অর্থ কেটে ফেলা হয়েছে। একেবারে শূন্য!
পুরো রোহিঙ্গা সমস্যা হঠাৎ আমাদের জন্য আরও প্রকট হয়ে উঠলো। এতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমাদের এটি মোকাবিলা করতে হবে। সহায়তার অর্থ উধাও হয়ে যেতে পারে, কিন্তু রোহিঙ্গারা তো উধাও হয়নি।