মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামোড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, বিকেলে জমিতে কৃষি কাজ করার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মুরাদকে কাঁটাতারের কাছ থেকে ধরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় ফেলে রেখে যায় বিএসএফ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২
খবর পেয়ে স্বজনেরা স্থানীয় মুকন্দপুর বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় মুরাদকে উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় বোন আমেনা খাতুন বলেন, আমার ভাইকে বিএসএফ ধরে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
নিহতের স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, আমার স্বামীর সারা শরীর পিটিয়ে কালো বানিয়ে মেরে ফেলছে। আমি এখন দুই শিশু সন্তান নিয়ে কই যামু। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: অটোরিকশা চুরির ঘটনা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, নিহত মো. মুরাদ মিয়া ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করার পর তাকে মারধর করা হয়। তবে তাকে বিএসএফ নাকি চোরাকারবারিরা পিটিয়েছে তা আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।