ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে কমেন্টস করা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫

৪ সপ্তাহ আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ফেসবুকে করা কমেন্টসকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে বিজয়নগরের তিনটি ইউনিয়নকে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এ নিয়ে ফেসবুক কমেন্টসে একেকজন একেক ধরনের কথা লেখালেখি করছেন। এ নিয়ে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের ‘পাঠান বাড়ি’ ও ‘ঐক্কি বাড়ির’ দুই যুবকের মধ্যে ফেসবুক কমেন্টে কথা কাটাকাটি হয়।


এ বিরোধের জেরে গত ১৪ জুলাই ঐক্কি বাড়ির মৃত সুরত আলীর ছেলে আরজু মিয়া ও তার মেয়ে আকলিমা বেগমের ওপর অতর্কিত হামলা করে পাঠান বাড়ির লোকজন। গত দুদিন ধরে এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। একটি পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এরই জের ধরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। প্রথমে স্থানীয় বাজারে, পরে খোলা মাঠে ও পরে এলাকার বিভিন্নস্থানে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইটপাটকেলে আঘাতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়। তবে কারো আঘাতই গুরুতর নয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।

আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আটকাপড়া যানবাহনে ডাকাতি

টনা সম্পর্কে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও সংঘর্ষের পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।’ 

 

তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে লেখা নিয়ে মারামারির কথা আমি শুনেছি। তবে বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারিনি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরাও দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করেছি। সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন।’


এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অমিতাভ দাস তালুকদার জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো পক্ষ থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন