এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিলকিস আক্তার বাদী হয়ে শনিবার (২১ জুন) রাতে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন: আশুগঞ্জ উপজেলার দগরিসার গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩১), একই এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে সামির খান (২৫) ও শুক্কুর আলীর ছেলে সিয়াম (১৬)।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কচুরিপানার ভেতর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, শনিবার ভোরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫ জনের মধ্যে তিনজনকে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি চাকু, একটি মোবাইল ফোন, একজোড়া জুতা, রক্তমাখা কাপড় ও রশি উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নিহত যুবকের নাম ও হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে পারে পুলিশ।
রোববার (২২ জুন) সকালে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে গ্রেফতারদের মধ্যে সিয়াম নামে একজনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চতুর্থ আদালত) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মেজবাহ উদ্দিনের আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে কুয়েত প্রবাসীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টানমনিপুর গ্রামের বিল থেকে ওই যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় তৌহিদুল ইসলামকে। তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রোকেয়া আক্তারের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপর তৌহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত মুজিবুর রহমানের অটোরিকশাটি ছিনতাই করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’