সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনের কনফারেন্স রুমে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্টের পর আজ প্রথমবারের মতো কার্যকরী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর। সভায় এফবিসিসিআই সাধারণ পরিষদের সদস্য পদে প্রতিনিধির নাম প্রেরণ নিয়ে আলোচনা চলছিল।
সভা শেষ হওয়ার পরপরই এক পক্ষ সভার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং হট্টগোল শুরু করে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ পক্ষটি কার্যকরী বিবরণীর রেজিস্টার খাতা ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই পক্ষের সমর্থকরা চেম্বার ভবনে প্রবেশ করে স্টাফদের উপর হামলা চালায়।
চেম্বার ভবনের সচিব মো. আজিম উদ্দিন জানান, একদল লোক তার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে নাজেহাল করে এবং তার দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তিনি জানান, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল চেম্বার ভবনে ঢুকে পড়েছিলেন।
অন্যদিকে হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, সভা শেষে একদল লোক তাকে রুম থেকে টেনে বের করে মারধর করে এবং তার পকেটে থাকা প্রায় ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীদের তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান, কারাদণ্ডসহ চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
কম্পিউটার অপারেটর দুলাল মিয়া জানান, হঠাৎ একদল লোক এসে তার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে হুমকি দিয়ে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, '২০১০ সাল থেকে কম্পিউটারে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সংরক্ষিত ছিল, তা সব নিয়ে গেছে তারা।'
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সদস্য কাজী ইমরান হোসেন বলেন, 'এই ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক। এতে ব্যবসায়ী সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।' তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, 'আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে ছিলেন। পরে বিএনপিপন্থীরা এসে রেজুলেশন খাতা চেক করেন। কিছুটা টানাহেঁচড়া হয়, পরে সবাই চলে যায়।'
তবে স্টাফদের মারধর, টাকা ছিনিয়ে নেয়া ও হার্ডডিস্ক সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'