আবাহনী ও বসুন্ধরার শেষ রাউন্ডের ম্যাচ হয়ে উঠেছিল গুরুত্বপূর্ণ, কারণটা ছিল মোহামেডানের লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন থাকা। তবে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার সমীকরণটা আবাহনীর জন্য খুব একটা কঠিন ছিল না। তাদের দরকার ছিল স্রেফ ড্র, তবে জিতেই সব হিসাব মিলিয়ে নিয়েছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।
দ্বিতীয় স্থানে থেকে ২০২৪-২৫ মৌসুমের লিগ শেষ করতে হলে বসুন্ধরা কিংসের জয় পেলেই চলবে না, তাদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে ব্রাদার্স-আবাহনীর ম্যাচের দিকে। বসুন্ধরা যদি জিতে যায়, অন্যদিকে আবাহনী যদি ব্রাদার্সের কাছে হেরে যায়, তাহলেই কিংসের হিসেব মিলবে। কিন্তু শেখ মোরসালিনের হ্যাটট্রিকে নিজেরা জিতলেও, অন্য ম্যাচের ফল পক্ষে না আসায় তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলো বসুন্ধরা কিংস।
মঙ্গলবার (২৭ মে) লিগের অষ্টাদশ ও শেষ রাউন্ডের চারটি ম্যাচ হয়েছে। আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা মোহামেডান এদিন জয় পেয়েছে বিশাল ব্যবধানে। গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে সুলেমানে দিয়াবাতের হ্যাটট্রিকে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাদাকালো জার্সিধারীরা।
আরও পড়ুন: আলেক্সিসে লিভারপুল, একই দিনে বেলজিয়ামে ৯০ বছরের খরা ঘুচল আরেক ম্যাকঅ্যালিস্টারে
১৮ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করলো চ্যাম্পিয়নরা। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী ও ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলো বসুন্ধরা কিংস। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরের আসরে আবাহনীর খেলার সুযোগ নির্ভর করবে মোহামেডানের লাইসেন্স পাওয়া, না পাওয়ার ওপর।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে আবাহনী ম্যাচের ডেডলক খোলে আসাদুজ্জামান বাবুলের গোলে। বক্সের বাইরে থেকে দৃষ্টিনন্দন জোরাল শটে উপরের কোনা দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণের দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন মোহম্মদ হৃদয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমেকার শট প্রতিহত হয় পোস্টে। ৫০তম মিনিটে কর্নারের পর সুযোগসন্ধানী হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাফায়েল আগুস্তো।
৭৪তম মিনিটে পাপন সিংয়ের শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে। শেষ দিকে মিরাজুল ইসলামের লক্ষ্যভেদে জয়ের পাশাপাশি লিগ রানার্সআপ হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর।
আরও পড়ুন: নেইমারের বাদ পড়া ও ভিনিসিউসের ফর্ম নিয়ে যা বললেন আনচেলত্তি
দিনের আরেক ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ মোরসালিনের হ্যাটট্রিকে আগেই লিগ থেকে অবনমিত হয়ে যাওয়া ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে কিংস। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে কিংসকে চমকে দিয়ে এগিয়ে যায় ওয়ান্ডারার্স।
৪০তম মিনিটে রাকিব হোসেনের গোলে সমতায় ফেরে কিংস। লিগে এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১১টি; স্থানীয়দের মধ্যে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তার একটু পরই হেডে কিংসকে এগিয়ে নেন মোরসালিন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান এই ফুটবলার।
৪৯তম মিনিটে শহীদুল ইসলাম সুমনের গোলে ম্যাচ জমিয়ে তোলে ওয়ান্ডারার্স। তবে ৬৬তম মিনিটে মোরসালিন হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় কিংস। ৮০তম মিনিটে গোল করেন রাব্বী হোসেন রাহুল। শেষ দিকে ব্যবধান কমান মানজুরুল করিম।
মুন্সিগঞ্জে স্যামুয়েল বোয়াটেং-এর হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ পুলিশকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে রহমতগঞ্জ।
]]>