ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধ নির্মাণ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ

৬ দিন আগে
তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ করছে চীন। সম্প্রতি এক ঘোষণায় বিষয়টি জানায় বেইজিং। সীমান্তের কাছে পরিবেশগতভাবে স্পর্শকাতর স্থানে বাঁধ নির্মাণের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। খবর এনডিটিভির।

সম্প্রতি তিব্বত মালভূমির পূর্বদিকে বিশ্বের সবচয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় চীন। বাঁধটি দেশটির থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়েও বড় হবে। দেশটির এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

২০২০ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়নার দেয়া হিসাব অনুযায়ী, এই বাঁধ থেকে প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

 

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধটি হল চীনের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত থ্রি গর্জেস ড্যাম। এখান থেকে বছরে ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। নতুন এই বাঁধের উৎপাদন ক্ষমতা থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে তিনগুণের বেশি।

 

আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধ যে বিপর্যয় আনতে পারে বাংলাদেশের জন্য

 

তিব্বতে ব্রহ্মপূত্র নদকে ইয়ারলুং সাংপো নদী বলা হয়। নদীটি গলিত হিমবাহ এবং পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে উৎপত্তি। হিমালয়ের পানিরেখা দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

 

বাংলাদেশ ও ভারতে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। তাই বাঁধটি চীনের চন্য ইতিবাচক হলেও ভারত ও বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। এই কারণে দিল্লি ও ঢাকা এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

 

প্রকল্পটি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ও নদীর নিম্নধারে পানির প্রবাহ ও পথ পরিবর্তন করতে পারে বলে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশ দুটি। তবে চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নদীর নিম্ন প্রবাহে পানি সরবরাহের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।

 

আরও পড়ুন: চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ২০২৪

 

গত সপ্তাহে চীন ঘোষণা দিয়ে জানায়, তারা বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে। সপ্তাহ খানেক পর ভারতের পক্ষ থেকে আবারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত তার ‘স্বার্থ রক্ষা করবে’। সেই সঙ্গে নয়াদিল্লি বেইজিংকে একটি অনুস্মারকও পাঠিয়েছে যাতে নদীর পানির ওপর তার অধিকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার আছে। রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সেই অধিকারের কথা বারবার জানানো হয়েছে। সেই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ জারি আছে। সরকার সেইমতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেবে।’

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন