বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, গত বছরের জুনে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৯১ লাখ। সবশেষ নভেম্বরে এসে যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখে। অর্থাৎ ছয়মাসে মোবাইলে ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে প্রায় ১ কোটি।
অপারেটররা যখন গ্রাহক ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে, তখন মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করলো এনবিআর। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট খরচ বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: ১০০ টাকা রিচার্জে কত টাকা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক?
এতে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ মিলিয়ে ২৮ টাকা ১০ পয়সার পরিবর্তে দিতে হবে ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। সবমিলিয়ে ১০০ টাকায় সরকার পাবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহক ও অপারেটররা।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘বাজেটের এত আগেই এ সিদ্ধান্ত ব্যতিক্রম। এটি বাড়ানো উচিত নয়।’
আর বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,
এটি একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। রোববারের (১২ জানুয়ারি) মধ্যে এটি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।
প্রথমবারের মতো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায়ও বসেছে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) বলছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে এক হাজার টাকার সংযোগে গ্রাহককে বাড়তি দিতে হবে ১৫৫ টাকা।
আরও পড়ুন: শুল্ক-কর বাড়ল যেসব পণ্যে
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, গ্রাহককে ৭৭ টাকা ৫৫ পয়সা অতিরিক্ত দিতে হবে ৫০০ টাকার সংযোগে। আর ১ হাজার সংযোগে বাড়তি দিতে হবে ১৫৫ টাকা। সরকার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে আগামী মাস থেকেই নতুন বিল গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন,
ইন্টারনেটের দাম বৃদ্ধির ফলে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এমনিতেই দাম বেশি। এখন আবার আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়তে পারেন ফ্রিল্যান্সাররা।
এর আগে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।
]]>