ব্যান্টন-বেথেলদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিরিজ নিশ্চিত ইংল্যান্ডের

৩ সপ্তাহ আগে
প্রথম বলে উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতে খুব একটা মেরে খেলতে না পারলেও শেষ দিকে রোভম্যান পাওয়েল, জেসন হোল্ডার আর রোমারিও শেফার্ডের ক্যামিওতে দুইশর কাছাকাছি স্কোর গড়েছিল। জবাবে ইংল্যান্ডের প্রায় সবাই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রেখেছেন অবদান। আর তাতেই সহজ জয়ে সিরিজ নিজেদের ঘরেই রেখে দিল হ্যারি ব্রুকের দল।

রোববার (৮ জুন) ব্রিস্টলে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।


এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিলো ইংল্যান্ড।


১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৯ রানে জেমি স্মিথের (৪) উইকেট হারায়। দ্রুত উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার বেন ডাকেট ও জশ বাটলার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৭২ রানের মাথায় ডাকেট বিদায় নেন। ১৮ বলে ৪ চার ও ১ছক্কায় ৩০ রান করেন তিনি।


আরও পড়ুন: নতুন সভাপতির অধীনে মুশফিকের প্রত্যাশা দেশের ক্রিকেটের উন্নতি


বাটলার ও অধিনায়ক ব্রুক ২৯ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন। ৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করে আকিল হোসেনের শিকারে পরিণত হন বাটলার। এটাই এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এদিকে ২০ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রান করে ব্রুকও বিদায় নেন।


জয়ের জন্য তখনও ৩৯ বলে ইংল্যান্ডের দরকার ৭১ রান। জ্যাকব বেথেল ও টম ব্যান্টনের ঝড়ো ক্যামিওতে জয় সহজ হয়ে গেছে ইংলিশদের।


বেথেল ১০ বলে ১টি চার ও ৩টি ছয়ে ২৬ রান করেন। ব্যান্টন ১১ বলে ৩টি চার ও ২তি ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। উইল জ্যাকস ৭ ও ব্রেইডন কার্স ৬ রান করেন।


ক্যারিবীয়দের পক্ষে আলজারি জোসেফ ২টি, আকিল হোসেন, জেসন হোল্ডার, রোমারিও শেফার্ড ও রস্টন চেজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।


আরও পড়ুন: জাতীয় দল রেখে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে, ক্যারিবীয়দের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন রাসেল


এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে জনসন চার্লস ও অধিনায়ক শাই হোপের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর। রানের খাতা খোলার আগে লুইসের বিদায়ের পর এই দুজন ৯০ রানের জুটি গড়েন। হোপ ৩৮ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ রান করে আউট হন।


রাদারফোর্ড ৬ রান করে বিদায় নেয়ার পর রভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে জুটি গড়েন চার্লস। ৩৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রান করে চার্লস বিদায় নেন।


ঝড় তুলেছিলেন পাওয়েল। আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ আড়ং করেন। শেষ দিকে শেফার্ড ও হোল্ডার তাণ্ডব চালান। আদিল রশিদের করা ১৯তম ওভারে শেফার্ড ও হোল্ডার মিলে ৩১ রান তোলেন। হোল্ডার প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকান। শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকান শেফার্ড। এটি ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল ওভার। সবার ওপরে আছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ২০০৭ বিশ্বকাপে যুবরাজ সিং তার ওভারে ৩৬ রান নিয়েছিলেন।


হোল্ডার ৯ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেফার্ড ১১ বলে ১৯ ও রোস্টন চেজ ৬ রান করেন।


লুক উড ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া কার্স, বেথেল ও রশিদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন