পাল্লেকেলে'তে যখন বাংলাদেশের চোখে-মুখে ছিলো কেবলই হতাশা। ঠিক তখনই গায়ানায় হাস্যোজ্জল টাইগারদের আরেকজন। নামটা সাকিব আল হাসান। দীর্ঘদিন পর গ্লোবাল সুপার লিগ দিয়ে ব্যাটে-বলে সেই চিরচেনা রুপে সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দেখিয়েছেন কিভাবে খেলতে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।
নানা ঝক্কি ঝামেলার পর বোলিংটা ঠিক হলেও, চোখের সমস্যায় ব্যাটিংয়ে লম্বা সময় ধরেই ভুগছেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। হেড পজিশন ঠিক রাখার জন্য কামড়ে রাখেন হেলমেটের স্ট্র্যাপ। এদিনও দেখা গেছে একইভাবে ব্যাটিং করতে। তবে তাতে কি, ব্যাটিংয়ের শুরুটা তো করেন দুর্দান্ত।
সাকিবের এই টুর্নামেন্টে খেলার কথা ছিলো রংপুর রাইডার্সে হয়ে। তবে, পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের পোস্টার বয়ের জায়গায় হয়নি রাইডার্স স্কোয়াডে। তবে, সুযোগটা লুফে নিতে ভুল করেনি দুবাই ক্যাপিটালস। যদিও সবশেষ পিএসএলে ব্যাট হাতে তিন ম্যাচে দুই ডাকের পর বল হাতেও বড্ড মলিন ছিলেন সাকিব। তারপরও তার ওপর ভরসা রেখেছে দুবাই। অভিষেক ম্যাচেই সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: টাওফেলকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিসিবি, থাকবেন সৈকতও
এদিন দেড়শরও বেশি স্ট্রাইকরেটে ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। ফিফটি করতে খরচ করেছেন ৩৪ বল। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১টি আর চার ৭টি। তার চেয়ে বড় বিষয় সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে আসেন ৫৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুকছিলো তার দুবাই ক্যাপিটালস। সাকিবের ইনিংসের ওপর ভর করেই ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় মধ্যপ্রাচ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
ব্যাটিংয়ের পর সাকিব বল হাতেও দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। নিউজিল্যান্ড ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়ন সেন্ট্রাল স্ট্যাগসের টপ অর্ডার একাই ধসিয়ে দেন সাকিব। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে এসে নিজের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন উইল ইয়াংকে। একই ওভারে ডানি ক্লেভারও শিকার হন তার। ডাবল মেডেন ওভার নেন সাকিব।
১১তম ওভারে আবারও আসেন সাকিব। ১টা চার খেলেও শেষ বলে ঠিকই ফেরান সেট হওয়া জশ ক্লার্কসনকে। তৃতীয় ওভারটা উইকেট শূন্য ছিলেন মিস্টার সেভিন্টি ফাইভ। নিজের শেষ ওভারে আবারও সাকিবের ঝলক। চতুর্থ বলে আউট করেন ২০ রান করা উইলিয়াম ক্লার্ককে। পাঁচ উইকেটও হতে পারতো, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। চার ওভার দিয়েছেন মাত্র ১৩ রান। এ নিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট হলো ৪৯৭টি। চলমান টুর্নামেন্টেই স্পর্শ করার সুযোগ পাঁচশর মাইলফলক।