ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, র‍্যাবের গাড়ি আটকে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

৩ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদে র‌্যাবের গাড়ি আটকে শ্রীপুর-বরমী আঞ্চলিক সড়কের বরামা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাঁচটার দিকে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের র‌্যাব সদস্যরা মোশারফ হোসেন নামের ওই ব্যবসায়ীকে অস্ত্রসহ আটক করে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেলে শ্রীপুরের বরামা চৌরাস্তার অটোরিকশা গ্যারেজ ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন তার দোকানে ছিলেন। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা দুটি গাড়িতে এসে দোকানে ঢুকে মোশারফকে অস্ত্রসহ আটকের কথা জানায়। এ সময় র‌্যাবের গাড়িতে করে অস্ত্র এনে মোশারফ ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তবে অস্ত্রগুলো কী ধরনের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


এরপর মোশারফের আত্মীয় ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে র‍্যাব সদস্যদের আটক করে রাখেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় মোশারফ হোসেনকে র‍্যাবের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সহস্রাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।


আরও পড়ুন: গাজীপুরে রেলস্টেশনে ২ মরদেহ উদ্ধার


স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, র‍্যাবের অভিযানের সময় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে, কিন্তু তারা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অবশেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জনতা ছত্রভঙ্গ হয় এবং র‍্যাব সদস্যরা মুক্ত হন।


আরেক বাসিন্দা জানান, রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবরোধে জড়িত সন্দেহে ১০ থেকে ১২ জনকে আটক করে।


গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী ড. মো. যাবের সাদেক বলেন, 'র‍্যাবের সঙ্গে স্থানীয়দের কিছু সমস্যা হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।'


স্থানীয়রা জানান, জহিরুল ইসলাম লিটন নামে একাধিক মামলার আসামি শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বরমা এলাকায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে আতঙ্ক তৈরি করে। এর প্রতিবাদে ওইদিন রাত ৩টা পর্যন্ত স্থানীয়রা একই স্থানে বিক্ষোভ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে তাদের সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন