জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নয়নপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সবুজ সরকার শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি নয়নপুর হানু মার্কেটে মোবাইল ও মোবাইল অ্যাকসেসরিজের ব্যবসা করেন। অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
সবুজ সরকার অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচা সুলতান সরকারের ইশারায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তাকে আটক করেন। আটকের পর পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে প্রতিবেশী কিশোরের হামলায় ওষুধ ব্যবসায়ী নিহত
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী আরও অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার বিকেলে নয়নপুর হানু মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করেন এসআই আবদুল কুদ্দুস। আটকের পর তার সঙ্গে থাকা দুই লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন পুলিশের ওই এসআই।
পরে ফাঁড়ির পাশে পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। ওই অবস্থায় তিনি মোবাইল ফোন থেকে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ফেসবুক পোস্ট নজরে আসলে তড়িঘড়ি তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর ছিনিয়ে নেয়া দুই লাখ টাকাও ফেরত পাঠিয়েছেন এসআই কুদ্দুস।
সবুজ সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আমার বাবার সঙ্গে চাচা সুলতান উদ্দিন সরকারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমার চাচার ইশারায় এসআই কুদ্দুস আমাকে আটক করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: মুগদায় অটোরিকশায় মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২
তবে অভিযুক্ত মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কুদ্দুস বলেছেন, তার বড় ভাই সুমন সরকারকে ভেবে সবুজ সরকারকে আটক করা হয়েছিল। তাকে পুলিশ ফাঁড়িতেও নেয়া হয়নি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় তাকে আটক করা হয়।
এছাড়া আটকের সময় সবুজ সরকারের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলেও দাবি করেন ওই এসআই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। সবুজ সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>