বোরো ধানে মাজরা পোকার হানা, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা

৫ দিন আগে
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বেশিরভাগ বোরো ধানের খেতে দেখা দিয়েছে মাজরা পোকা ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। এতে ফলন বিপর্যয় ও লোকসানের আশঙ্কায় কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে, ধান পাকার সময় আসায় এখন পোকার আক্রমণে ফলনে প্রভাব ফেলবে না।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে বোরো ধান। এরমধ্যেই অধিকাংশ জমির ধানের শীষ বের হয়েছে। আগাম লাগানো কিছু জমির ধান পেকে যাওয়ায় কর্তনও শুরু হয়েছে।

 

তবে আলুর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বোরো ধান আবাদ করলেও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। ধান বের হওয়ার সময় পোকার আক্রমণে ধানের উৎপাদন ব্যাহত ও খরচ তোলা নিয়ে শঙ্কায় তারা।

 

ছাতনী চারমাথা এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, মাঠে এরই মধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও এখনো অনেক জমির ধান সবেমাত্র শীষ বের হচ্ছে। কারণ আমরা যারা আলু ও সরিষা তুলে বোরো ধান রোপণ করেছি, সেসব জমির ধানে একটু দেরিতে শীষ বের হতে শুরু করেছে। পুরোপুরি বের হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ধান বের হওয়ার সময় জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে ঔষধ স্প্রেও করছি।

 

আরও পড়ুন: বৈরী আবহে ফসলে চিটা, কষ্টের ধানেও লাভের আশা ক্ষীণ

 

আরেকজন কৃষক মাজাহার বলেন, মাজরা পোকা ধান গাছের গোড়া কেটে নিচ্ছে। এতে করে ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। যেসব শীষ বাহির হচ্ছে তার সব ধান পাতান হয়ে যাচ্ছে। কয়েকবার কীটনাশক স্প্রে করেও সেই পোকার আক্রমণ থেকে পরিত্রাণ মিলছেনা। এতে করে ধানের উৎপাদন খরচ যেমন অনেকটাই বাড়ছে।

 

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ধানের ফলন ব্যাহত হওয়ায় ধানের উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। আমরা ভেবেছিলাম আলুর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো, কিন্তু বোরো ধান রোপণ করলেও পোকার আক্রমণে বোরো ধান চাষাবাদ করে ক্ষতির মুখে পড়তে পড়তে হচ্ছে।

 

এদিকে, মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করতে আলোক ফাঁদ ও কীটনাশক স্প্রেসহ সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে, এভাবে থাকলে কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন।

 

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৬২৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৩৪ হাজার ৯৯৪ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন