ফুল বিজুকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে চেঙ্গী নদীর নির্বারিত স্থানে ফুল ভাসাতে নদীর তরুণ-তরুণীদের ঢল নামে।
উৎসব উপভোগ করতে সকালে চেঙ্গী নদীর পারে উপস্থিত হন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ সামরিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কিন্তু সকাল থেকে কিছু লোক সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়। টাঙ্গানো হয় সাংবাদিক বর্জন সংক্রান্ত নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন। এমন পরিস্থিতিতে ফুল ভাসাতে লোকজন নির্ধারিত স্থানে ফুল না ভাসিয়ে বিছিন্নভাবে আনুষ্ঠিকতা পালন করেন।

এমন ঘটনাকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হয়নি আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ কিংবা ফুল ভাসাতে আসা কেউ।
আরও পড়ুন: চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসিয়ে খাগড়াছড়িতে ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরণ কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি তারা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, উৎসব যাতে আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয় সে ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৈসাবি উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ঘিরে পর্যটকে মুখর হবে খাগড়াছড়ি। তাই উৎসব ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।