শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় খুলনা রোডস্থ শহীদ আসিফ চত্বরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে স্বজনপ্রীতি, আর্থিক লেনদেন ও প্রকৃত নেতাদের অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০ নেতা ঘোষিত জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাদ দিতে চাইলে সব রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাদ দিতে হবে। যদি এটা রাজনৈতিক প্লাটফ্রম হয়, তাহলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে করতে হবে। আর যদি অরাজনৈতিক প্লাটফ্রম হয়, তাহলে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। সাতক্ষীরায় কারা জেল খেটেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি গঠন করা উচিত ছিল। তাদের অভিযোগ, ঘোষিত কমিটিতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির ৬ দিনের কর্মসূচি
অতি দ্রুত সমন্বয় করে নতুন কমিটি না দিলে, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বখতিয়ার হোসেন, মুশফিকুর রহমান রিজভী, রাকিব হাসান, সায়েম আহমেদ, এ এইচ রিফাত, মোমিনুর রহমান, মাশকুরা পারভিন মৌ, তুহিন রিয়াদ, মিজান রহমান, আনারুল ইসলাম সান, সামিউজ্জামান শ্রাবণ, মোস্তাফিজুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, মোল্লা মুহম্মদ সাহাজুদ্দিন, মেহেদী হাসান, ইখতিয়ার উদ্দিনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাড়ি বহরে হামলা: গ্রেফতার ৫
গত ২ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলায় ১৬৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।