বুধবার (৭ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়াসহ ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ থেকে ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১১, ১৫ ও ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট ও মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং বহিরাগতরা হামলা চালান। হামলায় ব্যবহার করা হয় গুলি, লাঠি, লোহার রড, ইট-পাটকেল, হাতবোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা পোমেল বড়ুয়া, মাহফুজুর রহমান শামিম, মাসুদুল হাসান, বাবুল হোসেন, ধনঞ্জয় কুমার টগর, বিধান বর্মণ, গ্লোরিয়াস ফজলে রাব্বী, শাহীন ইসলাম, আবির শাহরিয়ার, আরিফুজ্জামান ইমনসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: বেরোবির ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের উপস্থিতি পত্রে মুজিব শতবর্ষের লোগো
এছাড়া মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামও রয়েছে। তারা হলেন, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, সহকারী রেজিস্ট্রার হাফিজুর রহমান তুফান, কর্মচারী আমির হোসেন, মনিরুজ্জামান পলাশ, তৌহিদুল ইসলাম, রাফিউল হাসান রাসেল, নুরনবী, নুর আলম, মোক্তারুল ইসলাম, মাহবুবা আক্তার, মাহবুবার রহমান বাবু, মো. আপেল প্রমুখ।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ১১ জুলাই ছাত্র শহীদ আবু সাঈদকে চরথাপ্পড় মারেন পোমেল বড়ুয়া এবং মাসুদুল হাসান তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে। ১৬ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিসহ বিভিন্ন হামলার অভিযোগও আনা হয়।
রেজিস্ট্রার ও মামলার বাদী বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে সময় লেগেছে বলে মামলা করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে আমরা চাই, সহিংসতায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা হোক।’
]]>