বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির বেনাপোল রুটে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, বুধবার বাংলাদেশি ১০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকা মিলেছে ৭২.৫০ রুপি এবং ভারতীয় ১০০ টাকায় বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গেছে ১৩৬ টাকা। প্রতি ইউএস ডলারের ক্রয় মূল্য ছিল ১২৫ টাকা এবং বিক্রয় মূল্য ১২৬ টাকা।
বন্দরের তথ্য মতে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। এদিন দিনভর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩৮২ ট্রাক পণ্য। আমদানি পণ্যের মধ্যে ছিল শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, কেমিকেল, শিশু খাদ্য, মেশেনারিজ দ্রব্য, অক্সিজেন এবং বিভিন্ন প্রকারে ফল, চাল, পেঁয়াজ ও মাছসহ বিভিন্ন পণ্য।
বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানি বাণিজ্য হয়েছে ১১৭ ট্রাক পণ্য। এসব পণ্যে মধ্যে ছিল, বসুন্ধরা টিসু, মেলামাইন, কেমিকেল মাছ ও ওয়ালটন পণ্য সামগ্রী।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বাণিজ্যে ১৪ কোটি ও ভ্রমণে ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব আয়
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান, ৫ আগস্টের আগে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ ট্রাক পণ্যের বাণিজ্য হতো। তবে গতবছরের ৫ আগস্টের পর দুদেশের একের পর এক বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এক বছর ধরে বন্ধ দুদেশের বাণিজ্য বৈঠক। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের বিড়ম্বনা ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাণিজ্যের পরিবেশ ফেরাতে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে শুরু হয় পাসপোর্টধারী যাতায়াত। বুধবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুদেশের মধ্যে মোট যাতায়াত করেছে ২২৬৮ জন। এদের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে ১৪১৫ জন এবং ভারত থেকে ফিরেছে ৮৫৩ জন। ৫ আগস্টের পর ভিসা জটিলতায় পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমে যায়।
এদিকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, ২০ অক্টোবর রেল পথে ভারত থেকে ১০০টি ট্রাক্টর আমদানি হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। এছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

৩ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·