বেনাপোল: বাণিজ্যে ১৩ কোটি ও ভ্রমণে ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয়

৩ সপ্তাহ আগে
সোমবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৩১৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়েছে। এ সময় দু’দেশের মধ্যে ১৭৪৫ জন দেশ-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেছে। বাণিজ্যখাতে সরকারের প্রায় ১৩ কোটি এবং ভ্রমণখাতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বন্দর পরিচালক  শামিম হোসেন বেনাপোল রুটে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বন্দরের তথ্য মতে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। এদিন ভারত থেকে  আমদানি হয়েছে ২৫৩ ট্রাক পণ্য। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, কেমিকেল, শিশু খাদ্য, মেশেনারিজ দ্রব্য, অক্সিজেন ও বিভিন্ন প্রকারে ফল, চাল, পেঁয়াজ ও মাছসহ বিভিন্ন পণ্য। বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানি বাণিজ্য হয়েছে ৬৩ ট্রাক। এসব পণ্যে মধ্যে ছিল, বসুন্ধরা টিসু, মেলামাইন, কেমিকেল, মাছ ও ওয়ালটন পণ্য সামগ্রী।


বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, ৫ আগস্টের পর দুই দেশের একের পর এক বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত অর্ধেকের নিচে এসেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।


আরও পড়ুন: বেনাপোল: বাণিজ্যে ১৪ কোটি ও ভ্রমণে ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয়


ইমিগ্রেশন তথ্য জানান, ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে শুরু হয় পাসপোর্টধারী যাতায়াত। সোমবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে মোট যাতায়াত করেছেন ১ হাজার ৭৪৫ জন। এদের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে ১ হাজার ২১৪  জন এবং ভারত থেকে ফিরেছে ৫৩১ জন। ৫ আগস্টের পর ভিসা জটিলতায় পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমে যায়।


এদিকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, ১৩ অক্টোবর রেল পথে ভারত থেকে ১০০টি ট্রাক্টর আমদানি হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। এছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন