পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বৃষ্টি নিয়ে বলেন, ‘আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা।’ (সুরা কাফ, আয়াত: ৯)
নবীজির সময়েও বৃষ্টি হতো। নিম্নে বৃষ্টিমুখর দিনে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ৪ আমল করতেন তা তুলে ধরা হলো --
বৃষ্টির সময় দোয়া করা
এ সময় দোয়া কবুল হয়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বৃষ্টির সময়ের দোয়া কবুল হয়ে থাকে। (আবু দাউদ: ২৫৪০)
আরও পড়ুন: জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন
বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমরা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম এমন সময় বৃষ্টি নামল। তখন নবীজি তার কাপড় খুলে দিলেন। ফলে এতে বৃষ্টির পানি পৌঁছাল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসুল! এরূপ কেন করলেন? তিনি বলেন, কেননা এটা মহান আল্লাহর কাছে থেকে আসার সময় খুবই অল্প। (মুসলিম: ১৯৬৮)
উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, যখন বৃষ্টি হতো নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সয়্যিবান নাফিআহ’, (অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী করে দাও)। (নাসায়ি: ১৫২৩)
অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচতে দোয়া পড়া
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার অতিবৃষ্টিতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’ অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি বৃষ্টি আমাদের আশপাশে বর্ষণ করো, আমাদের ওপরে নয়। (নাসায়ি: ১৫২৭)
আরও পড়ুন: আরাফা দিবসের রোজা কয়টি?
উল্লেখ্য, এখানে এটি উদ্দেশ্য নয় যে আমাদের পাশের এলাকা ডুবিয়ে দাও, বরং উদ্দেশ্য হলো, জনবসতিহীন কোথাও বৃষ্টি সরিয়ে নাও।