বৃষ্টির বাগড়ায় প্রথম দিনের অনুশীলন সারলো বাংলাদেশ

১ দিন আগে
এশিযান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ৯ অক্টোবর ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ফিরতি ম্যাচ ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাঠে খেলবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রথম অনুশীলনে নামে দল। জাতীয় স্টেডিয়ামে এদিন প্রস্তুতির আগে সংবাদমাধমের সঙ্গে কথা বলেছেন মিতুল মারমা।

অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল সাড়ে ৪টায়। তবে এর আগে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। যে কারণে জামালরা মাঠে আসেন একটু দেরিতে। কিছুক্ষণ শরীর গরম করার পর ফের শুরু হয় বৃষ্টি। 

 

বৃষ্টির বাগড়ায় প্রস্তুতি বিঘ্নিত হলেও মিতুল অবশ্য হংকং ম্যাচ নিয়ে নিজের ও দলের লক্ষ্য জানিয়ে গেছেন। সমতল-পাহাড় সবখানে শান্ত পরিবেশের দাবিটাও তিনি জানান। 

 

‘শুধু পাহাড় নয়, যে ঘটনাটা ঘটেছে এই বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম (ফেইসবুকে)। আসলে শুধু পাহাড়ে নয়, বাংলাদেশের কোনো জায়গায় এমনটা হওয়া উচিত না। যার কারণে স্ট্যাটাস দেওয়া। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখন আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এখানে এসেছি। আমি মনে করি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের জন্য ভালো, সবার জন্য ভালো।’

 

আরও পড়ুন: আলভারেজকে দলে ভেড়ানোর মিশনে নামছে বার্সা

 

‘আসলে আমরা সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ছোটখাটো কোনো চোটের কারণে হয়তো ম্যাচের পরিকল্পনায় ছিলাম না (নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে), এটা স্বাভাবিক। এখন আমরা সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছি হংকং ম্যাচের জন্য। নেপালের বিপক্ষে যেহেতু খেলতে পারিনি, আমি চাইবো হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করার।’ 

 

গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ২৮ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেন হাভিয়ের কাবরেরা। তবে সেই স্কোয়াড ২৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ জন। মোহামেডানের ডিফেন্ডার জাহিদ হোসেন শান্তর পর আবাহনীর গোলকিপার পাপ্পু হোসেনকেও ডেকেছেন কাবরেরা। ক্যাম্পে আগে থেকে মিতুলের সাথে আছেন মেহেদী হাসান শ্রাবন ও সুজন হোসেন। দলে পাপ্পু যোগ হওয়াতে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছেন মিতুল। 

 

‘প্রথমত আমাদের সব পজিশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি। এখানে খামখেয়ালিভাবে থাকার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে প্রমাণ করে থাকতে হবে। এখানে মনে করি, আমি আমার নিজের সর্বোচ্চটুকু দেব। হংকংয়ের বিপক্ষে আমরা দীর্ঘদিন কোনো ম্যাচ খেলিনি। তাদের শেষ ম্যাচগুলো দেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেহেতু পরপর দুটি ম্যাচ খেলবো। হোম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করবো দুই ম্যাচই ফল যাতে পক্ষে থাকে।’ 

 

আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফায় চিঠি দিলেন ৫০ খেলোয়াড়

 

মিতুল আরও বলেন, ‘আমরা যদি আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারতাম, আমাদের জন্য ইতিবাচক হতো। যেহেতু খেলতে পারিনি, সেটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। শুরু থেকে আমরা হংকং ম্যাচ ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। লিগ বা যেখানেই বলি, আমরা নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ রেখেছিলাম, যেহেতু আমাদের এটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের হাতে যেটুকু সময় আছে, ওইটুকুতে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে সেরাটা দিতে চাই।’ 

 

দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। বাছাই পর্ব পেরুতে তাই শক্তিশালী হংকংয়ের বিপক্ষের দুই লেগেই জয়ের বিকল্প কিছু দেখছেন না মিতুল। 

 

‘অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কোয়ালিফাই করতে হলে আমাদের এ দুটো ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন দল র‌্যাঙ্কিংয়ে কত নম্বরে আছে, সেটা দেখতে চাচ্ছি না। আমাদের মূল লক্ষ্য, যেভাবেই হোক জিততে হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন