আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সময়ে ১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। একইসঙ্গে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৯ শতাংশ। এছাড়াও বাতাসের গতিবেগ উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার।
এদিকে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, দেশজুড়ে আবারও সক্রিয় হয়েছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়। এরফলে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, বৃষ্টি বলয়টি ৩০ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে ২ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে।
রাজধানীতেও সক্রিয় থাকবে বৃষ্টি বলয়টি। আর মাঝারি সক্রিয় থাকবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে। কক্সবাজার, রাঙামাটি বান্দরবান ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকির কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া বৃষ্টির প্রবাবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বাড়তে পারে। এ কারণে নদী নিকটবর্তী নিম্নাঞ্চল সাময়িক প্লাবিত হতে পারে। এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় নিম্ন অঞ্চলে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
লঘুচাপ নিয়ে নতুন বার্তা
আবহাওয়া সিনপটিক অবস্থার তথ্য অনুযায়ী, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।