বৃষ্টিতেই পিচ ওঠে যায় আধুনিক সড়কের, গর্ত এখন মরণফাঁদ

১৫ ঘন্টা আগে
সোয়া ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সড়ক নির্মাণের পর মেরামতের নামে কয়েক ধাপে ব্যয় করা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। কিন্তু মাদারীপুর-শরিয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কে দূর হচ্ছে না খানাখন্দ। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রী-চালক-পথচারীরা।

জানা যায়, মাদারীপুর-শরিয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক ৭ কিলোমিটার দুইলেন থেকে চারলেনে উন্নীতকরণ করা হয়। ৭৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোস্তফাপুর থেকে ডিসিব্রিজ এলাকা সড়কের কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। এরপর ২০২০-২১ অর্থ বছরে নওগাঁর স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জরুরিভাবে মেরামতে ব্যয় করা হয় ৪৫ লাখ টাকা। কিন্তু হালকা বৃষ্টিতেই দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে সৃষ্টি হয়েছে মরণফাঁদ।

 

পরে ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকার বনানী এলাকার ওটিবিএল ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেরামতে সাড়ে ৪ কোটি টাকা খরচ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। এর পর প্রতিবছর সংস্কারের নামে সড়ক বিভাগ নিজেরাই খরচ করছে লাখ লাখ টাকা। কিন্তু পাল্টাচ্ছে না সড়কের চিত্র। রয়ে গেছে খানাখন্দক।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সড়ক। বছর বছর সংস্কারের নামে ব্যয় করা লাখ লাখ টাকা। তবুও সড়ক বেশি দিন টিকছে না। মাদারীপুর সরকারি কলেজ গেট, থানার মোড়, স্টেডিয়াম গেট, ইটেরপুল, নতুন বাসস্ট্যান্ড, খাগদী, মোস্তফাপুর, ডিসি ব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কটির পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দক।

 

আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ভুয়া নির্বাচন কমিশনের গাড়ি ও বিয়ারসহ আটক ১

 

কলা ব্যবসায়ী হাদিম বেপারী বলেন, ‘শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ফোরলেন এখন মরণফাঁদ। আমরা শহরবাসী এর থেকে মুক্তি চাই। এখনই টেকসইভাবে মেরামত করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

 

ইজিবাইক চালক রাসের মাতুব্বর বলেন, ‘বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়েছে। সেইসাথে জমেছে পানি। এতে যাত্রী ও চালক সবারই সমস্যা হচ্ছে। যানবাহন উল্টেও অনেকেই আহত হচ্ছেন। চলাচল করা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

 

পথচারী মো. আলি আজগর বেপারী বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফোরলেন নির্মাণ করলেও এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। একটু পর পর বড় বড় গর্ত। সড়কের লোকজন মাঝে মাঝে ইট, বালু দিলেও আবারো একই অবস্থা হচ্ছে। ভোগান্তির শেষ নেই।’

 

রিকশার যাত্রী মিরাজ খান বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করাই দায়। সেখানে যানবাহনে চলাচল কষ্টসাধ্য। এগুলো কেউ দেখে না। এতে যাত্রী, পথচারী ও এলাকাবাসী ঝুঁকি থাকছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।’

 

আরও পড়ুন: সিন্ডিকেটে আটকা মাদারীপুরের অ্যাম্বুলেন্স সেবা

 

মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান জানান, ‘ভাড়ী যানবাহন চলাচল আর টানা বৃষ্টিতে ফোরলেনের বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে গেছে। ফোরলেন সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ অনুমোদন হলে স্থায়ীভাবে এটি মেরামত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ইট, বালু আর সুরকি দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি না হয়।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন