বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ঘটছে। অনেক কৃষক এখনও নতুন করে ধান রোপণ করতে পারেননি।
কোটচাঁদপুরের কৃষক আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে এক বিঘা জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে রোপণ করলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: অতিবৃষ্টিতে যশোরে সবজির ক্ষতি, বিপাকে চাষিরা
সদরের লাউদিয়া গ্রামের কৃষক মাহবুবুর রহমান জানান, ‘দুই বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি কবে নামবে জানি না। পানি নামলে আবার ধানের চারা রোপণ করতে হবে, কিন্তু এখন চারা পাওয়া কঠিন।’
মহেশপুরের রমজান আলী বলেন, ‘আমার এবং অনেক কৃষকের জমি ডুবে আছে। চিন্তায় আছি, এই বছর আমন ধান ঘরে তুলতে পারব কি না।’
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায় জানান, ‘কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বাঁধ অপসারণের কাজ চলছে। বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা সমাধান হয়েছে, বাকি এলাকায় কাজ চলমান।’
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
]]>