সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, দুই এক জায়গায় রাস্তা সংস্কারের কাজ করলেও বৃষ্টির কারণে টেকসই হচ্ছে না অভিযোগ পথচারী ও যানবাহন চালকদের। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন তারা।
রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলায় গেলে কয়েক বছরের মধ্যে চলতি বছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি। রাজশাহীর পবা উপজেলার দুয়ারী বাজার থেকে তানোরের চান্দুরিয়া পর্যন্ত সড়ক খানাখন্দে ভরা। রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। অন্যান্য উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর ও বেহাল দশা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বেড়েই চলছে পদ্মার পানি, প্লাবিত চরাঞ্চল
নওগাঁর সুপারিপট্টি, সুলতানপুর, কালিতলা অবস্থা সবচে নাজুক। রাস্তার পিচ উঠে হাঁটু পর্যন্ত কাদায় ডুবে থাকছে। এছাড়া বগুড়ার কাহালুর বাখড়া থেকে চান্দাই দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য তিনমাস আগে খুঁড়ে রাখা হলেও ঠিকাদার লাপাত্তা। এদিকে, বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ-তাড়াশের হাট পাঙ্গাসি সড়ক। একই অবস্থা নাটোরের গ্রামীন সড়কগুলোর। ফলে পথচারীদের পাশাপাশি চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহন চলাকেরা। প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে।
চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য কিছু কিছু জায়গায় কাজ শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে তা টেকসই হচ্ছে না। পথচারী ও যানবাহন চালকদের অভিযোগ, দায়সারাভাবে লোক দেখানো কাজ করছে এলজিইডি ও সড়ক জনপদ বিভাগ।
পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় খানাখন্দে ভরা অনেক রাস্তার সংস্কার কাজ করতে পারছেন না বলে জানান দায়িত্বশীলরা। তবে যেসব রাস্তার কাজ চলমান আছে তার গুণগত মান যেন ঠিক থাকে তা নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে বলে জানান বগুড়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুজ্জামান ও নাটোর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল হোসে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ২
বিভাগে এইজিইডি ও সড়ক জনপদের আওতায় কাঁচা রাস্তা আছে ৬ হাজার ২'শ ১০ কিলোমিটার। এ বছর প্রায় ৪'শ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ২'শ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পেয়েছে ৮০ কোটি টাকা।