বৃষ্টি মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের নিদর্শন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ কল্যাণ ও রিজিকের ব্যবস্থা করেন। আর প্রকৃতিতে প্রকাশ পায় স্বস্তির ছাপ। বৃষ্টির সঙ্গে মানুষসহ অন্য প্রাণীদের রিজিকের সম্পর্ক রয়েছে।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বৃষ্টি নিয়ে বলেন,
আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা। (সুরা কাফ, আয়াত: ৯)
উপরোক্ত আয়াত থেকে বোঝা যায়, আকাশ থেকে বর্ষিত পানি বরকতময়। আর বরকতময় পানি পবিত্র। তাই বৃষ্টিতে শরীর পুরোপুরি ভিজে গেলে অজু হয়ে যাবে। কারণ গোসলের মাধ্যমে অজু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাম চোখ লাফালে কি বিপদ আসে?
অজুতে নিয়ত করা সুন্নত। তাই ভেজার সময় অজুর নিয়ত না থাকলেও অজু শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, অজুতে যেসব অঙ্গ ধৌত করা আবশ্যক—তা ভিজতে হবে-- মুখমণ্ডল, দুই হাত কনুই পর্যন্ত, দুই পা টাকনু পর্যন্ত এবং মাথার অন্তত চার ভাগের একভাগ অংশের কোথাও সামান্য শুকনো থাকলেও অজু হবে না। আবার নতুন করে অজু করতে হবে। (দুররুল মুখতার: ১ / ৩৩২; ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ৫ / ৯৭)