জামালপুর বিসিক শিল্প নগরী। নাম 'শিল্প নগরী', হলেও বাস্তবে যেন দুর্ভোগের নগরী। সামান্য বৃষ্টিতেও রাস্তায় জমে পানি। কারখানার ভেতর পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয় যন্ত্রাংশ। থেমে যায় উৎপাদন।
শিল্পনগরীটিতে নেই সীমানা প্রাচীর। অভ্যন্তরীণ রাস্তায় লাইট না থাকায় রাতে তৈরি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। বাড়ে বখাটেদের আনাগোনাও। নেই কোনো কর্মব্যস্ততাও। এতে প্রতিনিয়তই লোকসানের হিসাব গুনতে হয় শিল্প মালিকদের।
আরও পড়ুন: নানা সংকটের বেড়াজালে রংপুরের অধিকাংশ বিসিক শিল্পনগরী
তাদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও নেই পানি বের হওয়ার কোনো সুব্যবস্থা। বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ চললেও নেই কর্তৃপক্ষের কোনো সুনজর। এছাড়া বখাটেদের উৎপাতে নাজেহাল হতে হয় শ্রমিকদের।
তবে অভিযোগ স্বীকার করে বিসিক কর্মকর্তারা জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ চলছে। জামালপুর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সম্রাট আকবর বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। প্রায় অর্ধেক কাজ এরই মধ্যে হয়ে গেছে। কাজ সম্পূর্ণ হলে চলমান সমস্যা আর থাকবে না।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে জেলার দাপুনিয়ায় ২৬ দশমিক তিন শূন্য একর জমিতে গড়ে ওঠে বিসিক শিল্পনগরী। ১৯৭টি প্লটের মধ্যে কারখানা স্থাপিত হয় ৮২ টিতে। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ১২টি।
]]>