আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্ষায় বাতাসে থাকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা। সেই আর্দ্রতার পাশাপাশি বৃষ্টি মিললে, বজায় থাকে ভারসাম্য। অন্য যে কোনো সময়ের বৃষ্টির সঙ্গে আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টির কিছু বৈসাদৃশ্যের কথা জানালেন আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ।
সময় সংবাদকে তিনি বলেন, আর্দ্রতার সঙ্গে বৃষ্টি থাকলে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু আর্দ্রতা আছে, বৃষ্টি নেই-- সেক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
এ আবহাওয়াবিদ আরও বলেন,
বর্ষাকালের বৃষ্টিতে মেঘের হাইট কম থাকে। এজন্য এ বৃষ্টির পানি অনেকটা গরমের মতো। কিন্তু চৈত্র বা বৈশাখ মাসের বৃষ্টিতে মেঘের হাইট বেশি থাকে। তাই ওই সময় বৃষ্টির পানি প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে। এই দুইটার প্যাটার্ন ভিন্ন। এ সময় বৃষ্টির পানিতে কোনো বাচ্চাকে গোসল করালে সমস্যা হবে না। তবে চৈত্র বা বৈশাখ মাসের বৃষ্টির পানিতে গোসল করালে প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগবে।
বাড়তি আর্দ্রতা আর তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে কিছু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা, আর বর্ষা ঋতুকালীন বিভিন্ন রোগ নিয়ে সচেতন থাকাটাই বেশি জরুরি।
আরও পড়ুন: আষাঢ়ের বৃষ্টির পরও কেন কমছে না গরম?
বৃষ্টিবিলাসী অনেকেই এ ঋতুতে ভিজতে পছন্দ করেন। তবে সবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান না থাকায় এটি মাথায় রেখে সাবধানে চলাফেরা করাই শ্রেয় বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
এ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, বর্ষাকালে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বেড়ে যায়। এসময় পানিবাহিত রোগগুলোও বাড়ে। এছাড়া ফুড পয়োজনিং বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে পানিশূন্যতা বাড়ে। গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যাও হয়।
ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন,
আবহাওয়া আর শরীরের অবস্থা বুঝে সচেতনভাবে চলাই এই মৌসুমে সুস্থ থাকার সহজ উপায়। যারা বৃষ্টিতে ভিজতে অভ্যস্ত, তারা ভিজতে পারেন। কিন্তু যারা অভ্যস্ত নয়, তাদের ভেজা উচিত না।
আরও পড়ুন: ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও ভারি বর্ষণের আভাস
সারা দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও সংবাদ পড়তে ক্লিক করুন এখানে
]]>