চলছে দরদাম, দেখাশোনা আর পশু বাছাইয়ের ব্যস্ততা। ঈদের আমেজে জমে উঠেছে এই হাট। গরুর পাশাপাশি কিছু সংখ্যক ছাগলও দেখা গেছে হাটজুড়ে। বিক্রেতারা বলছেন, ভালো দাম পেলে গরু বিক্রি করে দেবেন, না হলে অপেক্ষা করবেন মূল হাটের জন্য।
হুমায়ুন নামের এক বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির কারণে হাটে ব্যাপারী বা ক্রেতার উপস্থিতি কম। তবে বেচাকেনা হচ্ছে। দাম গত বছরের মতোই আছে। খুব বেশি বাড়েনি। আর গরুর খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। যার কারণে গরুর দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর পশুহাটে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
রফিক নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, বেচা না হলে অন্য হাটে নিয়ে যাবো। ৩ টা গরু এনেছি ৩টাই রয়ে গেছে। কেনা দামে ছেড়ে দিবো। আর হাটে এখনও গরু ওঠেনি। ব্যাপারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখনও গরু কিনতেছে। আগামী বৃহস্পতিবার এখানে শেষ হাট হবে। সেদিন আরও গরু উঠবে।
সুমন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি আর কাদা। যার কারণে কাছে গিয়ে গরু দেখার সাহস পাচ্ছি না। ভাবতেছি কয়েকদিন পর আবার আসব। এখনও সময় আছে।’
এদিকে, খুলনা বিভাগে এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক বেশি। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১০ জেলায় কোরবানির উপযোগী পশুর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮টি, যেখানে চাহিদা ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮৯টি। সে হিসেবে প্রায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৯টি পশু অতিরিক্ত রয়েছে। ফলে কোরবানির পশুর কোনো সংকটের শঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় প্রস্তুত কোরবানির পশু, গো-খাদ্যের বাড়তি দামে লাভ নিয়ে শঙ্কা
এরই মধ্যে, খুলনার বিভিন্ন হাটে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। আগামী ১ জুন থেকে খুলনার জোড়াগেটে শুরু হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও খামারিরা আশা করছেন, তখন থেকেই জমে উঠবে মূল বেচাকেনা।