রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে প্রোটিয়াদের ৩৩২ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩২২ রানে অলআউট হয়েছে। অর্থাৎ তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ ব্যবধানে সমতায়, তৃতীয় ম্যাচটি পরিণত হলো অঘোষিত ফাইনালে।
রান তাড়া করতে নেমে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই ৮৪ রানের মধ্যেই জিশান আলমের ব্যাট থেকে ৩৪ বলে আসে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস। বাকি দুইজনের মধ্যে মফিজুল ইসলাম রবিন ১০ ও রাফসান ৫ রান করেন। আকবর আলী ও আরিফুল ইসলামের ব্যাটে বাংলাদেশ চাপ সামলায়। আরিফুলের ইনিংসটা ছিলো ধীরগতির। ১১১ রানের জুটির পর ৫৯ বলে ৩৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
আকবর তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পথে রিজওয়ানের সঙ্গে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। আকবর দলকে ২৯১ রানে রেখে ব্যক্তিগত ১৩১ রানে আউট হন। ১১০ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান তিনি। আকবর ৪৫ ওভারের সময় আউট হলে পরের ৫ জন মিলে বাংলাদেশকে আর জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেননি, ২ বল বাকি থাকতেই ইনিংস শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আইসিসির মাসসেরা মেহেদী হাসান মিরাজ
দুটি নম্বই ছাড়ানো ইনিংসে ৩৩২ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর প্রোটিয়ারা ৪৯ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। তান্দো জুমা ১১ ও মিকা এল প্রিন্স ৩০ রান করে তুলেন। এরপর আন্দাইল মোকগাকানে ও কনর ইস্তারহুইজেনের ব্যাটে বড় জুটি গড়ে সফরকারী দল। ১৩৭ রানের জুটির পর ব্যক্তিগত ৫৫ রানে বিদায় নেন মোকগাকানে।
ইস্তারহুইজেনকে ৯ রানের আক্ষেপে পুড়ান মোকগাকানের উইকেট নেওয়া মারুফ মৃধা। ৯১ রানে কাটা পড়েন ইস্তারহুইজেন। বাংলাদেশি বোলারদের সামনে এরপর লড়াই করেন ডিয়ান ফরেস্টার। জর্জ হারডিন ১২, দেওয়ান মারাইস ১০ ও আন্দাইল সিমেলেন ১৩ রান করে আউট হলেও ফরেস্টার শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন। ৫৯ বলে ৭ চার ও ৬ ছয়ে ৯৬ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৭ উইকেটের মধ্যে রিপন মণ্ডল, মারুফ মৃধা ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি ২টি করে উইকেট পান, অন্য উইকেটটি নেন রিজওয়ান চৌধুরী।