বুয়েটের সনি হত্যায় সাজা খাটা টগর ফের অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে

৩ সপ্তাহ আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার সাজা খাটা আসামি মো. মুশফিক উদ্দীন টগরকে লালবাগ থানার অস্ত্র আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মতিয়ার রহমান বুলবুল আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার বিষয়ের প্রাথমিক সত্যতা পরিলক্ষিত হয়। এ আসামির মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ তথা তাকে নিয়ে অভিযান করলে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, উদ্ধার করা অস্ত্রের তথ্য, তার কাছে আরও অস্ত্র আছে কি না এবং ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো ব্যক্তি জড়িত আছে কি না তা উদঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আজিমপুর থেকে র‍্যাব-৩ এর হাতে গ্রেফতার করাহয় মুশফিক উদ্দীন টগর।

 

এরপর র‍্যাব জানায়, গ্রেফতারে সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, কাঠের পিস্তলের গ্রিপ, ১৫৫ রাউন্ড গুলি, শর্টগানের খালি কার্তুজ, দুটি মুখোশ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

 

আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যখাতের সেই আলোচিত মিঠু

 

ওইদিন র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টগর জানিয়েছেন, তিনি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করতেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

তিনি বলেন, টগর সনি হত্যা মামলায় ২০০২ সালের ২৪ জুন গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ সাজা ভোগের পর ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সরকারের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান। তবে মুক্তির পর থেকে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

 

এদিকে, গ্রেফতারের পর র‍্যাব-৩ এর ডিএডি (কোম্পানি কমান্ডার) মো. খালেকুজ্জামান শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টগরের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন