বীজ আলু উৎপাদনের খামারের পতিত জমিতে আউশের বাম্পার ফলন

২২ ঘন্টা আগে
নীলফামারীর ডোমার ভিত্তিবীজ আলু উৎপাদন খামার মৌসুম শেষে অব্যবহৃত জমিতে ধান চাষ করে বাড়তি খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এতে খামারের তিন শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কাজের নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সারা বছর আয় করার সুযোগ পেয়ে খুশি তারা। খামার কর্তৃপক্ষ বলছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।

মাঠের পর মাঠজুড়ে শুধু ধান। যন্ত্রে চলছে কাটা আর মাড়াইয়ের কাজ। ফসলের মাঠে উড়ে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি, আর এতে বাড়ছে শ্রমিকদের ব্যস্ততা। এমন দৃশ্য দেখা যায় নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের অধীনে ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে।

 

খামারের কর্মকর্তারা জানান, আলু ঘরে তোলার পর প্রায় ছয় মাস ফাঁকা পড়ে থাকে খামারের ৫০০ একর জমি। ওই সময়ে বেকার হয়ে পড়েন তিন শতাধিক শ্রমিক। অনেকেই তখন কাজের খোঁজে অন্যত্র চলে যান।

 

তবে আমন ও আউশ ধান চাষের পাশাপাশি বীজ উৎপাদন শুরু করায় বদলে গেছে সেই পুরোনো চিত্র। এখন খামারে মিলছে বছরজুড়ে কাজের সুযোগ। চাষিরা বলছেন, আউশ ধানের আবাদ শুরু হওয়ার পর অনেকেরই কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে বাড়ছে পেঁপে চাষ, বাণিজ্যের টার্গেট ১১০ কোটি!

 

বর্তমানে খামারে চলছে আউশ ধান কাটা ও মাড়াই এবং আমন ধানের চারা রোপণের কাজ। এ মৌসুমে ১৮৩ একর জমিতে আউশ ধানের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫০ মেট্রিক টন, যা দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার একর জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবে।

 

শ্রমিকরা বলছেন, আগে আলুর মৌসুম শেষে কাজ হারিয়ে বেকার থাকতে হতো। এখন আউশ ধানের আবাদ শুরু করায় সারা বছরই কাজের সুযোগ মিলছে। ফলে জীবিকানির্বাহ সহজ হয়েছে।

 

ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু তালেব মিঞা জানান, পতিত জমিতে আগাম ভুট্টা ও আমন ধানের মাঝামাঝি সময়ে আউশের আবাদ করে ভালো ফল মিলছে। উৎপাদিত বীজ খামারের প্রসেসিং সেন্টারে সংরক্ষণ করা হবে এবং পরে ডিলার ও বিপণন চ্যানেলের মাধ্যমে চাষিদের কাছে বিতরণ করা হবে।

 

উল্লেখ্য, বর্তমানে আউশ ও আমন মিলিয়ে প্রায় ২৬৫ একর জমিতে আবাদ হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন