এ ঘটনায় জেলার মোহনগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ওই তরুণীর ভাই। সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাবী গ্রামের ইউপি সদস্য শাহজাহানের ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৮), একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রফিক (২৪) ও জামাল উদ্দিনের ছেলে সাকিব মিয়া (২৬)। তারা সবাই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু
ভুক্তভোগী কিশোরী (১৭) মোহনগঞ্জ পৌরশহরের একটি গ্রামের বাসিন্দা। কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে ছেড়ে দিয়ে পরে বাসায় অবস্থান করছিল।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি আজিজুলের সঙ্গে ৩-৪ বছর আগে ইমোতে কথোপকথনের সূত্র ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো।
গত ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে আজিজুল ওই কিশোরীকে বিয়ে করার প্রলোভনে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ শহরের আলোকদিয়া সেতুর উপর ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে আজিজুল আর রফিক মিলে মোটরসাইকেলে করে ওই কিশোরীকে ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাবী গ্রামের সামনের একটি হাওড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে প্রেমিকসহ দুইজন।
এ সময় ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে তারা। কিছু সময় পর সাকিব সেখানে যায়, পরে সাকিবও তাকে ধর্ষণ করে।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই বলেন, এটি একটি জঘন্য ঘটনা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই। এ ঘটনায় পুলিশ দ্রুত অ্যাকশন নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রামগতিতে ফের সাত বছরের শিশু ধর্ষণ
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েই দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছি। অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করার বিষয়টি স্বীকার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যরাত থেকেই তাদের ধরতে অভিযান শুরু করি। শুধুমাত্র আজিজুলের মোবাইল নম্বর আমাদের হাতে ছিল। প্রথমে আজিজুলকে গ্রেফতার করি। তারপর কৌশলে তাকে দিয়েই মোবাইলে কল করিয়ে ওই দুজনকে নির্দিষ্ট জায়গায় এনে গ্রেফতার করা হয়।’
]]>