শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার পৌর এলাকার বালিবাড়ি গ্রামে সালমা আক্তার (২৪) নামে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে রুমের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত সালমা আক্তার বালিবাড়ি গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির কেফায়েতুল্লাহ রুবেলের (৩৩) স্ত্রী। তার রাইসা (১০) ও হারায়নি (৬) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী কেফায়েতুল্লাহ রুবেল কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন।
নিহতর শ্বশুর মজিবুর রহমান বাবুল ভূঁইয়া বলেন, ‘আজ আমার ভাই আবুল হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে তাহমিনার বিয়ে ছিল। আমার পুত্রবধূ নিজেই বিয়ের সব আয়োজন শেষ করে ঘরে এসে গোসল করেন এবং পরে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সংসারে কোনো অভাব ছিল না, স্বামীর সঙ্গেও ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ঋণের চাপে স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের প্রাণ নেয়া মিনারুলের চল্লিশাতেও হলো লাখ টাকার ঋণ
নিহতের বড় মেয়ে রাইসা জানায়, মা-বাবার মধ্যে ঝগড়ার পর মা ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম জানান, রুবেলের চাচা আবুল হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক ভালো না থাকায়, রুবেল স্ত্রীকে বিয়েতে যেতে নিষেধ করেছিলেন। এতে অভিমানে সালমা আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বামী পাশের ঘরের বিয়েতে যেতে নিষেধ করায় তিনি আত্মহত্যা করেন। অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
একটু নজর দিন:
আপনি যদি কখনো মনে করেন, জীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে, জেনে রাখুন— আপনি একা নন। সাহায্য চাওয়া দুর্বলতা নয়, বরং সাহসের কাজ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন। যেটা এখন মনে হচ্ছে, তা সাময়িক— সময়, সহায়তা ও কথা বলার মাধ্যমে অনেক কিছু পরিবর্তন সম্ভব। জীবন মূল্যবান এবং এখনও অনেক সুন্দর মুহূর্ত বাকি আছে।
আপনি যদি মানসিক চাপে বা আত্মহত্যার চিন্তায় ভুগে থাকেন, অনুগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কাউন্সেলর বা হেল্পলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সাহায্য চাইতে কখনো দ্বিধা করবেন না।
এ বিষয়ে জরুরি পরামর্শ দেয় ‘কান পেতে রই’। হেল্পলাইন নম্বর: 01779-554391 এবং 01688-709966।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত হেল্পলাইনে কথা বলতে পারবেন যে কেউ।
]]>