শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রের মতো পরিবর্তন এসেছিল বিসিবিতেও। তারই অংশ হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের পরিবর্তে বিসিবি সভাপতি হয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। তবে ৯ মাস পেরোনোর আগেই অন্য পরিচালকদের আস্থা হারিয়েছেন তিনি।
নানা অনিয়ম-দুর্নীতি এবং পরিচালকদের অনাস্থার অভিযোগে গতকাল (২৯ মে) ফারুকের বিসিবির পরিচালক পদের মনোনয়ন বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ফলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির পদও বাতিল হয় ফারুকের। কারণ বিসিবির সভাপতি হতে হলে অবশ্যই পরিচালক হতে হয়।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট জৌলুস হারাচ্ছে, কিন্তু আমরা অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ব্যস্ত
এদিকে, ফারুককে অপসারণের আগেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেখেছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক আইসিসিতে কর্মরত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের ইশারা পেয়ে সেই চাকরি ছাড়েন তিনি।
গতকাল ফারুকের পরিচালক পদ থেকে মনোনয়ন বাতিলের দিনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত করে বুলবুলকে। আর আজ (৩০ মে) এনএসসির ক্ষমতাবলে বিসিবির পরিচালক হয়েছেন তিনি। এখন হলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও সহ-সভাপতি হয়েছেন আরেক পরিচালক ফাহিম সিনহা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অর্থাৎ এনএসসির কোটায় ৫ জন কাউন্সিলর এবং ২ জন পরিচালক হতে পারেন। সেই ক্ষমতাবলে এর আগে বোর্ড পরিচালক ছিলেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস। তবে আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর ইউনুস পদত্যাগ করেন এবং সাজ্জাদকে অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশেই আছেন ফারুক, চালিয়ে যাবেন লড়াই
ববি এবং ইউনুসকে অপসারণের পর এনএসসি তাদের স্থলাভিষিক্ত করে ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে দিয়ে। ফাহিম বর্তমানে বোর্ড পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তবে ফারুক আহমেদকে অপসারণের পর সেই জায়গায় এবার বুলবুলকে এনেছে এনএসসি।
আজ বিসিবির ডাকা জরুরি সভায় সভাপতি নির্বাচিত হন বুলবুল। বিসিবির নিয়মানুযায়ী, এরকম পরিস্থিতিতে একজন বোর্ড পরিচালক সভাপতির নাম প্রস্তাব রাখেন। আর বাকি পরিচালকরা সেখানে সমর্থন বা অসমর্থন জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে নির্বাচিত হন সভাপতি। আজকের নির্বাচনে উপস্থিত ছিলেন না পরিচালকদের সবাই৷ বাংলাদেশের পাকিস্তান সিরিজ উপলক্ষে দেশের বাইরে আছেন অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনিসহ আরও একজন যোগ দিয়েছেন ভার্চুয়ালি। তবে বাকিরা সবাই সশরীরে উপস্থিত ছিলেন সভায়৷ আর তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনেই সভাপতি হলেন বুলবুল।