বিসিবির কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন নারী ক্রিকেটার

২ সপ্তাহ আগে
দল থেকে বাদ পড়াটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়। আবার অনেকেই আছেন, বাদ পড়ার এই ব্যাপারটিকে মেনে নিতে পারেন না। নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ জাতীয় দল থেকে একবার বাদ পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন ‘নো মোর ক্রিকেট’। এমন পোস্ট করে অবশ্য বেশ আলোচনায় এসেছিলেন এই ক্রিকেটার। মাঝে সুযোগ পেলেও আবারও বাদ পড়েন তিনি। গত ৩ বছর ধরে কোনো দলেই সুযোগ পাননি এই ক্রিকেটার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ। নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে খোলা চিঠির মতো তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিকতা ও বিশৃঙ্খলা আর চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়া দীর্ঘ তিন বছর বাইরে থাকা কোনো রকমের হাস্যকর বিষয় নয়।’

 

আরও পড়ুন: অভিষেক ম্যাচেই শতক হাঁকালেন মোহাম্মদ নবির ছেলে 


রুমানা আরও লিখেছেন, ‘আমার রেকর্ডই প্রমাণ করে যে আমি কখনো অবহেলা করে কিংবা নোংরা ক্রিকেট খেলিনি। এবং কখনোই কোনো অনৈতিক কাজে জড়াইনি। সিনিয়রিটি কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চাই, যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে।’

 

 

একটা সময় জাতীয় দলে নিয়মিত মুখ ছিলেন রুমানা আহমেদ। তিন বছর আগে ফিটনেস ইস্যু টেনে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তার বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় বিসিবি থেকে বলা হয়েছে বিশ্রামের কথা। তবে এটা মানতে নারাজ এই অলরাউন্ডার।

 

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা অস্বীকার করল বিসিসিআই


মাঝে টানা কয়েকটি সিরিজে জাতীয় দলে জায়গা হয়নি রুমানার। যে কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নো মোর ক্রিকেট’ লিখা একটি পোস্ট করে খেলা ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রুমানা। 

 

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ৫০টি ওয়ানডে খেলেছেন রুমানা। ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে মোট রান করেছেন ৯৬৩। পাশাপাশি উইকেট শিকার করেছেন ৫০টি। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৮ ম্যাচে। এছাড়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৮৪টি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন