হৃদয়ের এই নিষেধাজ্ঞা ইস্যু ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ক্রিকেটারের সন্দেহজনক ফিক্সিং ইস্যুতে শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডাকেন তামিম ইকবাল। তাতে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় পৌনে ৬টা নাগাদ। আলোচনা শেষে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞাকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন তামিম।
ফারুক আহমেদের সঙ্গে এই দুটি ইস্যুতেই তামিমদের কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হৃদয়কে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি। আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারি মিলে তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে...। কিছুদিন পর দেখলাম যে দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা (নিষিদ্ধ) হয়েছে, এটা বিসিবি করেছে। তখনও আমরা কিছু বলিনি। হৃদয় একটা ম্যাচ না খেলে পরের দুইটা খেলে। বেসিক্যালি ওর যে শাস্তি ছিল, সেটা কিন্তু শেষ। দুইটা ম্যাচ খেলার পর আবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা কোন নিয়মে, কীভাবে করছে, আমার জানা নাই।...বিষয়টা হাস্যকর লেগেছে।’
তামিমরা বিসিবি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের ঘোষণা। আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে মোহামেডান। তামিমের অনুপস্থিতিতে দলটির নেতৃত্ব সামলাচ্ছেন হৃদয়। তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী বছরের ডিপিএলে।
দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে তর্কে জড়ান মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। মাঠের সে ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমে হৃদয় আবার দাম্ভিকতার সুরে বলেছিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হলে আমিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণা, প্রায় তিন বছর পর ফিরলেন বিজয়
ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে তর্ক, কটাক্ষ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার কারণে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান হৃদয়। এরপর হৃদয় ও তার দল মোহামেডান শাস্তি কমানোর জন্য ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন করেন। তবে কমিটি কোনো সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে এখতিয়ার না থাকলেও বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নিয়ে আসে। ম্যাচ খেলেন হৃদয়।
নিয়ম ভেঙে হৃদয়ের এই শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সৈকত। তিনি বিসিবির কাছে পদত্যাগ পত্রও জমা দেন। তবে পরবর্তীতে বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয়। তাতে অভিমানও ভাঙে সৈকতের। আম্পায়ার্স বিভাগের প্রধান ইফতেখার আহমেদ মিঠুর আলোচনার পর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারে রাজি হয়েছেন তিনি।
এ কারণে হৃদয়ের শাস্তিও ফের কার্যকর করা হয়। তবে শাস্তি কমিয়ে আবার কার্যকর করার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ক্রিকেটাররা। আর সে কারণেই আজ বিসিবিতে গিয়েছিলেন তারা। আলোচনার পরই বাতিল করা হয় হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা।
তবে নিষেধাজ্ঞা থেকে একেবারে মুক্তি পাচ্ছেন না হৃদয়। আগামী মৌসুমের ডিপিএলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবেন তিনি।
]]>