বিশ্বের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ টাইফুনের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত ৩ দেশ

১ সপ্তাহে আগে
বিশ্বের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ টাইফুনের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত তাইওয়ান, হংকং ও চীন। প্রভাব কমলেও ধ্বংসের ছাপ রেখে গেছে ‘রাগাসা’। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। এখনো নিখোঁজ শতাধিক মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে চলছে উদ্ধারকাজ।

তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে এখন শুধুই ধ্বংসের ছাপ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে কাউন্টির গুয়াংফু শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

 

পাহাড়ি এলাকায় জমে থাকা লেকের বাঁধ ভেঙে নেমে আসে পানির ঢল, মুহূর্তেই প্লাবিত হয় ছোট্ট শহরটি। যানবাহন ও বাড়িঘর ভেসে যায় কাদামাটির স্রোতে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়।

 

ধ্বংসস্তূপ সরাতে সড়কে নামানো হয়েছে এক্সকাভেটরসহ ভারী যন্ত্রপাতি। কাদামাখা রাস্তায় ধীরে চলাচল করছে যানবাহন, স্থানীয়রা হাঁটছেন কাদা মাড়িয়ে। অনেকে এখনো ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও ভাঙাচোরা বাড়িঘর নিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। হাতে শাবল ও ঠেলাগাড়ি নিয়ে তারা মাটি সরানোর কাজ করছেন। 

 

আরও পড়ুন: হংকংয়ে সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাত, তাইওয়ানে ১৪ জনের মৃত্যু

 

এছাড়া শহরে এখনো বন্ধ রয়েছে পানির লাইন। পানি সংকটে পড়েছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দারা কেউ মাটির নিচ থেকে পাম্প করে পানি তুলছেন, কেউ কিনছেন বোতলজাত পানি। পাহাড়ি ঝরনার পানি দূষিত হওয়ায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলেও জানান তারা। সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় দিন গুনছে সাধারণ মানুষ।

 

হংকংয়েও চলছে উদ্ধারকাজ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমে যাওয়ায় ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে আবার চালু হয় হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। টানা দু’দিন আটকে থাকা যাত্রীরা ভিড় করেন টার্মিনালে। দুইদিন ভোগান্তির পর বিমানবন্দর চালু হওয়ায় স্বস্তি নেমে আসে যাত্রীদের মাঝে। 

 

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে ‘রাগাসা’-কে। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর উৎপত্তির পর ২১ সেপ্টেম্বর সুপার টাইফুনে পরিণত হয়ে প্রথম ফিলিপিন্সে আঘাত হানে এটি। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ আঘাত হানে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন