শনিবার (১৪ জুন) ইরানের তেল মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর প্রদেশের দুটি প্রধান গ্যাসক্ষেত্রে ইসরাইল আক্রমণ করেছে।
ইসরাইলির সামরিক বাহিনী ছোট্ট একটি ড্রোন ব্যবহার করে ওই গ্যাসক্ষেত্রকে নিশানা করেছে বলে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানিয়েছে।
মেহের নিউজ ও ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর প্রদেশের সাউথ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে বোমা হামলা চালিয়েছে তারা। এতে গ্যাসক্ষেত্রের কিছু অংশে আগুন ধরে যায়।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ফারস নিউজ বলেছে, স্থানীয় দমকল বিভাগের কর্মীরা বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের আগুন নেভানোর কাজ করছেন। দেশটির দক্ষিণের এ গ্যাসক্ষেত্রকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: আগেই ইরানে ঢুকে কীভাবে হামলার ক্ষেত্র গড়ে তুলেছিল মোসাদ?
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ড্রোনের মতো ছোট্ট বিমান ব্যবহার করে সাউথ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের । এ গ্যাসক্ষেত্র ছাড়াও শনিবার ইরানের বোরুজার্দ, কাজভিন এবং শিরাজের বিভিন্ন কারখানা-সহ শিল্প স্থাপনায় হামলা করেছে এ বাহিনী। ইসরাইলের হামলার আশঙ্কায় দেশজুড়ে বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে ইরান।
বুশেহর প্রদেশে অবস্থিত সাউথ পার্স গ্যাসক্ষেত্রটি ইরান ও কাতারের যৌথ অংশীদারত্বে পরিচালিত হয়। ইরানের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও রফতানি সক্ষমতার অন্যতম প্রধান উৎস এ গ্যাসক্ষেত্র।
এদিকে, ইসরাইলের হামলায় ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে কমপক্ষে ৩০ সেনা সদস্য নিহত হন। শনিবার আজারবাইজান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (আইএসএনএ)।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি ড্রোন হামলায় ইরানের পুলিশ প্রধানসহ দুইজন নিহত
আইএসএনএর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, শুক্রবার থেকে শুরু করা ইসরাইলের বিমান হামলায় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে অন্তত ৩০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
আইএসএনএ বলেছে, ‘শুক্রবার সকাল থেকে এই প্রদেশে জায়নবাদী ইসরাইল বাহিনীর আগ্রাসনে ইসলামি মাতৃভূমির রক্ষায় ৩০ সৈন্য ও রেড ক্রিসেন্টের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরাইলির হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫৫ জন।’
]]>