শনিবার (১২ এপ্রিল) জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরূপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননের যেতে চাই না। কৃত্রিম প্রজনন প্রাণিসম্পদের খুব বেশি উপকার করেনি এটা বুঝতে হবে। ইলিশ প্রকৃতি থেকে আসা একটা মাছ। এটা প্রাকৃতিতেই রাখা ভালো।
একই সঙ্গে জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে তখন যেন দামটা ঠিক থাকে তা সেটাও দেখতে হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা সংস্কৃতির কথা বলছি, আবার বার্গার-স্যান্ডউইচও খাচ্ছি: মৎস্য উপদেষ্টা
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততার প্রভাব তো আছেই সেইসঙ্গে বৃষ্টি হওয়া না হওয়ার সঙ্গে ইলিশের ডিম ছাড়ার একটা সম্পর্ক আছে। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তনে আমরা কী করতে পারি তা দেখার জন্য গবেষকদের আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, যদি যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করা যায় তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ৯৫ শতাংশ জেলে যদি বন্ধের সময় এ মাছটি না ধরেন, তাহলে বাকি কাজটা আমরা করতে পারব। জেলারা যেখানে মাছ ধরতে যান, সেখানে দস্যুরা আক্রমণ করে। তাদের চিহ্নিত করে ধরতে হবে। আমরা যে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি তা যেন জেলেরাই পান তা নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিএফআরআইয়ের গবেষক ও মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমরা সচেতন হলে আগামী প্রজন্ম পাবে ইলিশের ভাণ্ডার: উপদেষ্টা ফরিদা
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন বিএফআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন প্রফেসর ড. ইয়ামিন চৌধুরী, মৎস্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী।
]]>