বিশ্বকাপে সুযোগই পাননি, সেই ভিনসেন্টেই সিরিজসেরা মেহেদী

২ সপ্তাহ আগে
গেল বিশ্বকাপে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র দুটি ম্যাচে। যে ভিনসেন্টে মেহেদী রাঙ্গানো এক সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ, বিশ্বকাপে সেই স্টেডিয়ামে টাইগাররা ম্যাচ খেলেছে টানা ৩টি। অথচ সেই তিন ম্যাচের একটিতেও সুযোগ পাননি মেহেদী হাসান। এবার সেই ভিনসেন্টেই পারফর্ম করে দেখিয়ে দিলেন শেখ মেহেদী হাসান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে দারুণ পারফরম্যান্স করে সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন শেখ মেহেদী হাসান। পুরো সিরিজে বল হাতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। 

 

বিশ্বকাপেও একেবারে খারাপ বোলিং করেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছেন মেহেদী হাসান। এই দুই ম্যাচে ৮ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ৫০। তবে কোনও উইকেট শিকার করতে পারেননি। 

 

বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে কোনও উইকেট না পেলেও রান দিয়েছেন তুলনামূলক অনেক কম। টি-টোয়েন্টিতে ৮ ওভারে ৫০ রান দেওয়া নিঃসন্দেহে ভালো বোলিং। 

 

আরও পড়ুন: মেলবোর্ন টেস্টের আগে স্কোয়াডে পরিবর্তন আনল অস্ট্রেলিয়া

 

এই সিরিজের আগেও টানা ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন মেহেদী হাসান। নতুন বলে তিনি নিয়মিত বোলিং করেন। যেহেতু নতুন বলে বোলিং করেন, সেহেতু তিনি উইকেট পেলেই প্রতিপক্ষের টপ-অর্ডার ভেঙে যাবে।  

 

সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বল হাতে ভালো পারফর্ম করেছেন। প্রতি ম্যাচেই কোনো না কোনো টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। 

 

দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে রান দিয়েছেন মাত্র ২০। তার মধ্যে এক ওভার ছিল মেডেন। উইকেট নিয়েছেন দুটি। তৃতীয় ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন দুটি। 

 

ম্যাচশেষে মেহেদী হাসান বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের সময় দলে অনেক বিকল্প ও সমন্বয় ছিল। এর জন্য আমি খেলিনি। আবার ওয়েস্ট উন্ডিজে এলাম, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি সিরিজেই আমি আত্ববিশ্বাসী ছিলাম। এই সিরিজের জন্য সেখানে অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই ধরনের উইকেটে বোলিং করতে উপভোগ করি। বিশ্বকাপের সময়েও দেখেছি এই উইকেটে বল নিচু হয়, টার্ন করে। তাই এই সিরিজের আগে উইকেট সোজা বোলিং করার পরিকল্পনা করেছি।’ 

 

আরও পড়ুন: ক্লাসেনকে সেঞ্চুরিবঞ্চিত করে পাকিস্তান সিরিজ জিতল

 

এই সিরিজে তিন ম্যাচেই নিকোলাস পুরানকে আউট করেছেন মেহেদী হাসান। চলতি বছর সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে পুরান করেছেন ২ হাজার ৩৩১ রান, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। সেই পুরানকে পুরো সিরিজে বেধে রেখেছেন মেহেদী। 

 

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিকোলাস পুরানের মোট রান মাত্র ২১ রান। তার মধ্যে এক ম্যাচেই করেছেন ১৫ রান। মেহেদী বলেন, ‘এই উইকেটে অ্যাকুরেসি গুরুত্বপূর্ণ। আমি পুরান সম্পর্কে জানি, একসঙ্গে বিপিএলসহ কয়েকটি লিগে খেলেছি। ডানহাতি স্পিনারদের বিপক্ষে ওর দুর্বলতা আছে সেটা জানতাম। এটাই পরিকল্পনা ছিল এবং আমরা সফলও হয়েছি।’ 

 

টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে সংস্করণের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো কিছুর আশা করছেন মেহেদী, ‘আমাদের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ ভালো গেছে, তবে ওয়ানডেতে ভালো করতে পারিনি। ছেলেরা টি-টোয়েন্টি সিরিজে অনেক ক্ষুধার্ত ছিল। আমার সতীর্থদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেছেন নিশ্চয়। আশা করছি, আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করতে পারব।’  

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন