ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি গুয়াতেমালা ও মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কিংবদন্তি ফুটবলার কার্লোস রুইজ। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন গুয়েতেমালার জাতীয় দলের হয়ে। তবে এর মধ্যে কখনও দলকে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে তুলতে পারেননি রুইজ।
সব মহাদেশ মিলিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক রুইজ। ৪৭টি ম্যাচ খেলে ৩৯টি গোল করেছেন কার্লোস রুইজ। এই রেকর্ডে মেসি ও রোনালদো দুজনেই রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।
আরও পড়ুন: অঁরিকে ছোঁয়া এমবাপ্পের ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে আর কয়টি দরকার
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সব মিলিয়ে ৩৬টি গোল করেছেন মেসি। রোনালদোর গোলসংখ্যাও তাই, তবে এ প্রতিবেদন লেখার সময় আরমেনিয়ার বিপক্ষে খেলছিল পর্তুগাল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরমেনিয়ার বিপক্ষে একটি গোলও করেছেন সিআরসেভেন। এই গোলসহ হিসেব করলে তার গোলসংখ্যা এখন ৩৭টি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মেসি নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন মেসি। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৩৮ বছর বয়সী মেসির এটাই ছিল শেষ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা থেকে সবার আগে বিশ্বকাপে মরক্কো
আগামী বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইকুয়েডরে বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শেষ ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রুইজের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ নেই মেসির। কিংবা গোলসংখ্যায় রোনালদোকেও পেছনে ফেলার সুযোগ নেই তার।
অন্যদিকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রুইজকে পেছনে ফেলার সুযোগ আছে রোনালদোর। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রোনালদোর হাতে এখনো অন্তত আরও পাঁচ ম্যাচ বাকি আছে। অর্থাৎ, এই ম্যাচগুলোতে গোল করে রুইজকে পেছনে ফেলে এককভাবে শীর্ষে ওঠার দারুণ সুযোগ রয়েছে সিআরসেভেনের।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় রুইজ, রোনালদো ও মেসির পর আছেন ইরানের আলী দাইয়ি। তার গোলসংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩৫টি। এরপরের স্থানে থাকা পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা ৩১টি। এছাড়া উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ গোলসংখ্যা ২৯টি।
]]>