বিলিয়ন ইউরোর চেলসি বধের স্বপ্ন দেখছে ৮৬ মিলিয়নের ফ্লুমিনেন্স

২ সপ্তাহ আগে
গত এপ্রিলে রেনাতো গাউচো যখন ফ্লুমিনেন্সের কোচের দায়িত্ব নেন তখন দলটা ধুঁকছে। ক্লাব বিশ্বকাপে এই ব্রাজিলিয়ান ক্লাব নিয়ে আশাবাদী হওয়ার তাই কোনো কারণ ছিল না। কিন্তু টুর্নামেন্টে জায়ান্ট কিলার হিসেবে আবির্ভূত হওয়া ট্রাইকালাররা এখন শিরোপার ঘ্রাণ পাচ্ছে। ফাইনালের পথে এবার তাদের প্রতিপক্ষ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট চেলসি।

ফুটবলের পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট অপ্টা ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে জানিয়েছিল দলগুলোর কার শিরোপা জেতার সম্ভাবনা কতটুকু। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফ্লুমিনেন্সের শিরোপা জেতার সম্ভাবনা ছিল মাত্র ০.০৫ শতাংশ! এমন না যে ফ্লুমিনেন্স প্রবাবিলিটির অঙ্ক পাল্টে দিয়ে শিরোপা জিতে গেছে। এখনও পিএসজি, চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদের মতো দল প্রতিযোগিতায় টিকে আছে। কিন্তু এই এলিটদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখনও টিকে থাকাটাও রূপকথার চেয়ে কম নয়।


নতুন আঙ্গিকে শুরু হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপের এবারের আসরের সেমিফাইনলে জায়গা পাওয়া একমাত্র অইউরোপীয় ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। মঙ্গলবার (৮) মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ফ্লুমিনেন্স। এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি।


নামেভারে বা শক্তিমত্তায় চেলসির চেয়ে ফ্লুমিনেন্স অনেক পিছিয়ে। ট্রান্সফার মার্কেটের হিসেবে অনুযায়ী ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির মোট মার্কেট ভ্যালু ৮৬.১৫ মিলিয়ন ইউরো। অন্যদিকে চেলসির মার্কেট ভ্যালু ১.২৭ বিলিয়ন ইউরো। চেলসির মইসেস কাইসেদো বা কোল পালমারদের চেয়েও ফ্লুমিনেন্সের পুরো স্কোয়াডের মূল্য কম। এই লড়াই কতটা অসম তা বুঝতে এই তথ্যই যথেষ্ঠ।


আরও পড়ুন: রুডিগার-এমবাপ্পেকে জরিমানা করল উয়েফা


তবে খেলার মাঠে ফলাফল তো আর সবসময় দামের বিচারে আসে না। ফল নির্ভর করে মাঠের খেলায় কে সেরাটা দিচ্ছে তার ওপর। যে কারণে ইন্টার মিলান ও আল হিলালদের পেছনে ফেলে ফ্লুমিনেন্সই জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে। তবে ক্লাবের আর্থিক সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখেই স্বপ্নে বাধ টানছেন ফ্লুমিনেন্সের কোচ রেনাতো গাউচো, ‘আমি যখন অবহেলিত হওয়ার কথা বলি, সব ক্লাবের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আমি তখন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বলি। ফ্লুমিনেন্সের আর্থিক সামর্থ্য এসব বড় ক্লাবের মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে বড় ক্লাবগুলোর কাছে সেরা খেলোয়াড়দের দলে নেওয়ার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও সম্পদ রয়েছে।’


ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির এই পর্যায়ে জায়গা করে নেয়ার পেছনে খেলোয়াড়দের হার না মানা মানসিকতাকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোচ, ‘ফ্লুমিনেন্সের সেমিফাইনালে উঠে আসার মূল কারণ দলের মানসিকতা। খেলোয়াড়দের মাঠের পারফরম্যান্স, তাদের মনোযোগ, একাগ্রতা এবং পুরো দলের কঠোর পরিশ্রমই এত দূর নিয়ে এসেছে।’


সেমিফাইনাল নিয়েও ছক কষছেন গাউচো। ম্যাচটাকে দুই দলের জন্য ধৈর্যের খেলা বলে মনে করছেন তিনি, ‘এটা হবে ধৈর্যের খেলা। আমরা সতর্ক থাকব। নিশ্চয়ই বলের দখল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। কারণ, খেলাটা শুরু হবে বেলা তিনটায়। গরমটা তখন অসহনীয়! যদি প্রতিপক্ষের পেছনে শুধু দৌড়াতেই হয়, যদি তোমার দখলে বল না থাকে, তাহলে নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। চেলসির প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু এটা একধরনের দাবা খেলা। আমার মতে, ম্যাচটি হবে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং কম সুযোগই পাওয়া যাবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন