বিল পরিশোধেও মিলছে না পানি, দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় হাহাকার

৩ সপ্তাহ আগে
গ্রীষ্ম মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে দেখা দেয় পানির তীব্র সংকট। এ অবস্থায় পৌর কর ও পানির বিল দিয়েও মিলছে না চাহিদা মতো সুপেয় পানি। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার হাজার হাজার গ্রাহক।

সরেজমিনে পিরোজপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুফিয়া বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রতিমাসে পৌরসভায় ৭৫২ টাকা পানির বিল পরিশোধ করি। তারপরও চাহিদা মতো পানি মিলছে না। তাই বাধ্য হয়ে কলস নিয়ে অন্যত্র ছুটতে হচ্ছে।’


এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌরসভায় দেখা দিয়েছে তীব্র সুপেয় পানির সংকট। পানি পরিশোধনে তীব্র ঘাটতি থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দিনে দুবেলা ২ ঘণ্টা পানি দেয়ার কথা থাকলেও একঘণ্টাও মিলছে না।


পিরোজপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে সুপেয় পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। পিরোজপুরে সুপেয় পানির সংকটে রীতিমতো এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই। দীর্ঘদিন এ পানির সমস্যা সমাধানের কথা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। আমরা নিয়মিত পৌর কর এবং পানির বিল পরিশোধ করেও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’


আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির পাহাড়ে পানির কষ্ট, সমাধানে আসে না জনপ্রতিনিধি-প্রশাসন!


একই সমস্যায় দিশেহারা ঝালকাঠি পৌরসভার বাসিন্দারা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই মিলছে না পানি। নষ্ট পাম্প ও নাজুক সরবরাহ ব্যবস্থাকে দুষছেন ভুক্তভোগীরা।


ঝালকাঠি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষ্ণকান্তি মজুমদার বলেন, কয়েক মাস ধরে আমরা ঠিকমত পানি পাচ্ছি না। পানির অভাবে আমাদের রান্না, গোসল  ঠিকমতো হচ্ছে না। এ পানির সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। পৌরবাসীর এই সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষও উদাসীন বলে জানান তিনি।


সুপ্রিয় পানির সংকট খোদ বরিশাল সিটি করপোরেশনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহান তালুকদারের; তিনি জানান, সুপেয় পানির সমস্যা দীর্ঘদিনের। পানির সমস্যা সমাধান না হলে এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় যেতে বাধ্য হবো। পানির সমস্যার কারণে অনেক ভাড়াটিয়া ঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় ইতিমধ্যে চলে গেছেন। যার কারণে আমরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’


আরও পড়ুন: সেচ অপারেটরদের দাপটে কৃষক জিম্মি, ভেঙে পড়ছে উৎপাদন


এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের দুটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টই অকেজো। নিয়মিত বাসিন্দারা কর পরিশোধ করলেও মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তবে, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের জন্য সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করা হবে।’


বরিশাল নগরীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা এক কোটি ২০ লাখ গ্যালন। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে সরবরাহ করা হয় ৬৫ থেকে ৭০ লাখ গ্যালন। আর ৪২টি পাম্পের মধ্যে অচল ৫টি।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন