বিমানের ফ্লাইট কমানোয় সবজি রফতানিতে ধাক্কা

২ দিন আগে
হজ ফ্লাইট পরিচালনায় অনেকগুলো বিমান আটকে যাওয়ায় বিভিন্ন রুটে কমানো হয়েছে বাংলাদেশ বিমানের ১৩৪টি ফ্লাইট। এতে যাত্রী বিড়ম্বনার পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন দেশে সবজি রফতানি। ক্রয়াদেশ পূরণ করতে না পারায় বাজার হারানোর শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। বিদেশি এয়ারলাইন্স ব্যবহারে ভাড়া পরিশোধে চাপ বাড়বে ডলারের ওপর। এ অবস্থায় ক্ষতি নিরসনে ডেডিকেটেড কার্গো বিমান প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাপ্লাইচেইন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবছর বিভিন্ন রুটের ফ্লাইট কমিয়ে হজের বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান। চলতি মৌসুমেও মোট হজযাত্রীর অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৩ হাজার ৫৫০ জন যাত্রীকে বহন করবে রাষ্ট্রীয় এই বিমান সংস্থা। এ জন্য যাতায়াতে পরিচালনা করতে হবে ২২৭টি বিশেষ ফ্লাইট।

 

হজের এই মহাকর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে তিন মাসে বিশ্বের বিভিন্ন রুটের ১৩৪টি নিয়মিত ফ্লাইট কাটছাঁট করতে হয়েছে বিমানকে। এর প্রভাব পড়ছে কুয়েত, ম্যানচেষ্টার, দুবাই, দোহাসহ ১০টি রুটে। কোনো কোনো রুটে ফ্লাইট বন্ধ, কমিয়ে অর্ধেক, কোন রুটে দাড়িয়েছে চারভাগের এক ভাগে। এতে নিয়মিত যাত্রীরা অন্য এয়ারলাইন্সে গন্তব্যে যেতে পারলেও, সংকটে পড়েছে প্যারিসেবল আইটেম বা পচনশীল পণ্য তথা সবজি রফতানি কার্যক্রম।

 

আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলার প্রভাব শাহজালাল বিমানবন্দরে

 

ব্যবসায়ীরা জানান, ফ্লাইট কমে যাওয়ায় ক্রেতা চাহিদা পূরণে বাজার চলে যাচ্ছে ভারতের হাতে। আটকে যাচ্ছে বিক্রি করা পণ্যের দামও। বাংলাদেশ ফল, সবজি ও সংশ্লিষ্ট পণ্য রফতানিকারক সমিতির (বিএফডিএপিইএ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর বলেন, আমাদের ক্রেতা সপ্তাহে চার দিন পণ্য আনা নেয়া করতো। ফ্লাইট সংকটে সবজি পাঠাতে পারছি না। এতে ক্রেতা হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

 

লাভজনকভাবে পরিচালনার সুযোগ থাকায় পণ্য পরিবহনে কার্গো ফ্লাইটে চালুর পরামর্শ সাপ্লাইচেইন বিশেষজ্ঞদের। যদিও ভিন্ন মত জানিয়ে, সংকট সমাধানে যাত্রীবাহী ক্যারিয়ারকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিমান সংশ্লিষ্টরা।

 

সাপ্লাইচেইন বিশেষজ্ঞ মো. মুজিবুল হক বলেন, এটির জন্য একটি স্থায়ী সমাধান দরকার। ক্ষতি নিরসনে ডেডিকেটেট কার্গো বিমান প্রয়োজন। যার জন্য নীতি নির্ধারণ করতে হবে রাষ্ট্রকেই।

 

আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো যাচ্ছে কার্গো ফ্লাইট

 

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, বিমান কার্গো হ্যান্ডলিং করে থাকে। তারা জানে কার্গো কোথা থেকে আসছে এবং কোথায় যাচ্ছে। তবে ডেডিকেটেড কার্গো বিমান দিয়ে এসব পণ্য আনা নেয়া কতটা লাভজনক হবে, তা বোঝা মুশকিল।

 

এদিকে সংকট কিছুটা কাটাতে একাধিক টেন্ডার দিয়ে পুরানো উড়োজাহাজও মিলছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক বুসরা ইসলাম বলেন, অনেক চেষ্টা করা হয়েছে লিজ নেয়ার জন্য। এখনও পাইনি, তবে কাজ এখনও চলমান রয়েছে।

 

চলতি মাসের শেষে শুরু হবে ফল রফতানি। এতে সংকট আরও কয়েকগুণ বাড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন