শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস জাভেদ তানভীর খান সমাপনী বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মহড়াটি গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হঠাৎ যাত্রী অসুস্থ, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ঢাকাগামী ফ্লাইট ব্যাংককে জরুরি অবতরণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন আয়োজন করে থাকে। এই অনুশীলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হেলিকপটার ও পরিবহন বিমান ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে প্রতিকূল পরিস্থিতি ও আপদকালীন সংকট মোকাবেলায়। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ মূলত লক্ষ্য ছিল আপদকালীন ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপটার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা, যাতে বিভিন্ন ধরনের বাস্তব অনুশীলন সম্পন্ন করা যায়।
‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান। মহড়ায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১৫০ জন এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের ৯২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও উক্ত মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।
এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমান বাহিনী কেবল পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে না, বরং আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার এবং পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া বিমান বাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি দেবে।
]]>