গাজায় ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ চরম রূপ নিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ অনেকদিন না খেয়ে আছে। অনাহারে প্রতিদিন মানুষ মরছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরাইল।
গত শনিবার (২৬ জুলাই) ইসরাইলি দখলদার বাহিনী ঘোষণা দিয়ে জানায়, তারা ‘গাজা উপত্যকায় সাহায্য প্রবেশের অনুমতি এবং চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলেছে।’
কিন্তু গাজার স্থানীয় সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, কিছু ত্রাণের প্যাকেট দক্ষিণ গাজার আল-রশিদ রোডের কাছে তাঁবুর ওপর পড়েছে। আরও কিছু ত্রাণের প্যাকেট উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত স্থান থেকে অনেক দূরে এবং যেখানে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবস্থান করছে তার কাছাকাছি এলাকায় ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় যে কোনো দিন যুদ্ধবিরতি হতে পারে: মার্কো রুবিও
এদিকে কয়েক মাসের আন্তর্জাতিক চাপের পর ইসরাইলি দখলদার বাহিনী রোববার গাজার কিছু অংশে তাদের চলমান হামলা দৈনিক ১০ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এবং সেই সঙ্গে নতুন ত্রাণ সরবরাহ করিডোরও স্থাপন করেছে।
এর অংশ হিসেবে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল।
তবে হামাস বলেছে, তারা গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা এবং সীমিত মানবিক করিডোরকে ‘বিশ্বের সামনে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে প্রতীকী ও প্রতারণামূলক পদক্ষেপ’ বলে মনে করে।
গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলাকে ‘অদ্ভুত’ বলে সতর্ক করেছেন ত্রাণ সংস্থাগুলোর নেতারা। এই ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান অনাহারের সংকট নিরসনে কোনোভাবেই কার্যকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: গাজায় ঢুকছে মিশর ও জর্ডানের ত্রাণবাহী ট্রাক
ইন্টারন্যাশনাল রেসক্যু কমিটির (আইআরসি) কিয়ারান ডনেলি বলেছেন, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা ‘প্রয়োজনীয় পরিমাণ বা গুণগত মানের ত্রাণ সরবরাহ করতে পারে না।’
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা ‘ব্যয়বহুল, অকার্যকর এবং কখনও কখনও ভুল হলে না খেয়ে থাকা বেসামরিক মানুষদের মেরে ফেলতেও পারে।’
]]>