বিপ্লব পরবর্তী রাজনীতিতে বাকশালের দোসরদের স্থান হবে না: মামুনুল হক

১ সপ্তাহে আগে
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ক্ষুদ্র অংশ ৭২-এর ‘বাকশালী’ এবং অপরটি চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের দেশপ্রেমিক গোষ্ঠী। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। বিপ্লব পরবর্তী এ দেশের রাজনীতিতে ৭২-এর বাকশালের দোসরদের স্থান হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে প্রেসক্লাব যশোরের আব্দুল মাজেদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিস যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

 

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরিতে পৃথক গণভোটের আয়োজন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই সনদ দেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সনদ; অথচ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে গ্রহণ করে এর তাৎপর্যকে হ্রাস করা হয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘এরপরও যদি গণভোট অনুষ্ঠিত হয় তাহলে ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে হ্যাঁ ভোট দিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’

 

আরও পড়ুন: হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির

 

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে অকার্যকর এবং জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে ভিনদেশি চক্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছে দেশ ছেড়ে দেয়া যাবে না। জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে বিজয়ী করতে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে, মাঠে-ময়দানে কাজ করতে হবে। কারণ এই সনদ আগামীর বাংলাদেশে মুক্তির দুয়ার খুলবে।’

 

সংখ্যালঘু বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ইসলামী শক্তি ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ‘ধান্দাবাজির রাজনীতি’ বন্ধ হবে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

 

সভায় সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিস যশোর জেলার আমির মাওলানা আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা অলিউল্লাহ মাহমুদ প্রমুখ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন